বর্তমানে কলকাতা মেট্রোয় উত্তর-দক্ষিণ (ব্লু লাইন), ইস্ট-ওয়েস্ট (গ্রিন লাইন ১ এবং ২), জোকা-মাঝেরহাট (পার্পল লাইন) এবং নিউ গড়িয়া-রুবি (অরেঞ্জ লাইন) পথে পরিষেবা চালু রয়েছে। নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রো বেলেঘাটা পর্যন্ত সম্প্রসারিত হতে পারে। এ ছাড়াও পরিষেবা শুরু হতে পারে নোয়াপাড়া-বিমানবন্দর পথে (ইয়েলো লাইন)। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর শিয়ালদহ থেকে এসপ্লানেড পর্যন্ত পথও চলতি বছরেই জুড়ে যাওয়ার কথা। সে ক্ষেত্রে হাওড়া ময়দান থেকে সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত পথে মেট্রো ছুটবে।
advertisement
আরও পড়ুন: দই তো গরমে সবাই খায়…, কিন্তু জানেন কি দই খাওয়ার সঠিক ‘নিয়ম’! এই ভুলটি করছেন না তো আপনিও?
সংশ্লিষ্ট পথগুলিতে মেট্রো চলাচল শুরু হলে চালকের চাহিদা আরও বাড়বে। গত বছরে অনেক চেষ্টার পরে দক্ষিণ-পূর্ব রেল থেকে ২৫ জন চালককে আনতে পেরেছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। আপাতত তাঁদের প্রশিক্ষণ চলছে। সেই সঙ্গে মেট্রোর ইয়ার্ডে ট্রেন শান্টিংয়ের দায়িত্বে থাকা কর্মীদের কয়েক জনকে প্রশিক্ষণ দিয়ে চালক হিসাবে গড়ে তোলা হয়েছে। তবে, তার পরেও চাহিদা এবং জোগানের মধ্যে সমতা বজায় থাকবে কিনা, সেই সংশয় কাটছে না। মেট্রোর কর্মীমহলে তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।
মেট্রো কর্তৃপক্ষের অবশ্য দাবি, ইস্ট-ওয়েস্ট ছাড়াও নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর এবং জোকা-মাঝেরহাট মেট্রোপথে রেডিয়ো তরঙ্গ নির্ভর সিগন্যালিং ব্যবস্থা থাকছে। এই ব্যবস্থায় ট্রেন চলাচল নিয়ন্ত্রিত হয় স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তিতে। ফলে, চালকের সেই অর্থে দায়িত্ব থাকবে না। চালকের পরিবর্তে তাঁরা ভবিষ্যতে ট্রেন অপারেটর কাম স্টেশন কন্ট্রোলার পদে কর্মী নিয়োগ করতে চান। ইস্ট-ওয়েস্ট রুটে হাওড়া ময়দান থেকে সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত বর্ধিত সংখ্যার ট্রেন চালানোর জন্য অন্তত ৫০ থেকে ৬০ জন চালক লাগতে পারে বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে। আর এখন ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোতে আছে ৩৫ জন চালক। এই আবহে বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে পাওয়া চুক্তিভিত্তিক ট্রেন অপারেটরদের দিয়ে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো চালানোর কথা ভাবা হয়েছিল।