এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহেই হতে পারে ট্রায়াল রান। ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত কাজ। বিদ্যুতায়নের কাজও সম্পূর্ণ। কিন্তু বউবাজার বিপর্যয়ের জেরে মেট্রোর টানেলে কংক্রিট বেস স্ল্যাব তৈরির কাজ শেষ না হওয়ায় আনা যাচ্ছিল না কোনও রেক। সম্প্রতি বউবাজারে সেই কাজ শেষ করেছে নির্মাণকারী সংস্থা কেএমআরসিএল।
আরও পড়ুনঃ দুয়ারে সরকার নিয়ে বিরাট টার্গেট, পঞ্চায়েত ভোটের আগে গাইডলাইন প্রকাশ নবান্নের
advertisement
তবে মেট্রো সূত্রে খবর, শিয়ালদা থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত বিদ্যুতায়ন না হওয়ায় রেক আনা হবে টেনে। বউবাজারে সাইড ওয়াল তৈরি শুরু হয়েছে। প্রায় ২ মিটার কাজ শেষ। দেওয়াল প্রায় ৯ মিটার পর্যন্ত হবে। দেওয়াল তৈরি হয়ে গেলে ছাদের কাজ শুরু হবে। কিছু ব্র্যাকিং আছে যেগুলো সাপোর্টিং স্ট্রাকচার হিসেবে তৈরি হয়েছিল। সেই ব্র্যাকিংগুলিও সরিয়ে ফেলতে হবে। তারপরই হাওড়া ময়দান এবং সল্টলেক সেক্টর ৫-এর সঙ্গে যুক্ত হবে বউবাজার। তবে পূর্বমুখী সুড়ঙ্গ দিয়ে টেনে আনা হবে রেক।
আরও পড়ুনঃ এলাহি দোতলা বাড়ি, ভাড়া মাত্র ২০ টাকা! ভূ-ভারতে এমন পাবেন না, বাংলায় কোথায় আছে?
হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত পরিষেবা চালু হলে, দেশের মধ্যে প্রথম কলকাতায় মেট্রো ছুটবে গঙ্গার নীচ দিয়ে। গঙ্গার গভীরতা ১৩ মিটার।
তার আরও ১৩ মিটার নিচে তৈরি হয়েছে টানেল। ২০১৮ সালে ৬৬ দিনে শেষ হয় গঙ্গার নীচে টানেল তৈরি। গঙ্গার নীচে লাইনের দৈর্ঘ্য সাড়ে ৫০০ মিটার। ২০১৯ সালে প্রথমবার, বউবাজারে বিপর্যয় ঘটে। ২০২২ সালে দ্বিতীয়বার ফাটল তৈরি হয় এই কংক্রিট বেস স্ল্যাব তৈরির সময়। দ্বিতীয় বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার আগেই ধেয়ে আসে তৃতীয় বিপর্যয়। ফলে বউবাজার নিয়ে বারবার সমস্যায় পড়তে হয় মেট্রোকে। এ বার মেট্রোর সল্টলেক কারশেড থেকে হাওড়া ময়দান পৌঁছনোর অপেক্ষা। তারপর হাওড়া ময়দান থেকে মহাকরণ পর্যন্ত দৌড়বে মেট্রো।
ABIR GHOSHAL