পুরসভার ইঞ্জিনিয়র সূত্রের খবর, কলকাতা পুরসভার প্রাথমিক তদন্তে নজর ছিল মেছুয়ার হোটেলের দোতালায়। ইন্টেরিয়ার ডেকোরেশন-এর কাজে ব্যবহার করা হচ্ছিল লোহার সামগ্রী। আয়রন অস্টিল রড ব্যবহার করে চলছিল ইন্টেরিয়ার ডেকোরেশন। এজন্য কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি কলকাতা পুরসভার কাছে। আয়রন ইনফ্রাস্ট্রাকচারের কাজ হলেও নিয়ম মেনে কোনও ইঞ্জিনিয়ার-এর তত্ত্বাবধানে সেই কাজ করা হচ্ছিল না। অদক্ষ শ্রমিকদের দিয়ে এই কাজ করানোর ফলেই বিপত্তি বলে প্রাথমিক ধারণা পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারদের।
advertisement
আরও পড়ুন: সল্টলেকের রাসায়নিক কারখানায় ভয়াবহ আগুন, পর পর বিস্ফোরণ! এলাকায় আতঙ্ক
তবে বহুতলের অনুমোদনের নকশা বা আইবি বুকের থেকে বড় ধরনের বাহ্যিক কোনও বিচ্যুতি পাননি ইঞ্জিনিয়াররা। কলকাতা পুরসভার প্রয়োজনীয় লাইসেন্স নবীকরণ করা হয়েছে সময়মতো। কলকাতা পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারদের প্রাথমিক রিপোর্ট এরপর দমকল বিভাগ ও পুলিশের সঙ্গে আলোচনার পরই মেয়রকে চূড়ান্ত রিপোর্ট দেওয়া হবে বলে কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর।
অন্যদিকে, ঘটনাস্থল পরীক্ষা করে দেখেছেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। নমুনা সংগ্রহ করেছেন। পরীক্ষার পর তাঁদের মনে হয়েছে দোতলায় যেখানে কাজ চলছিল তার পাশেই রান্নার ব্যবস্থা ছিল। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের প্রাথমিক অনুসন্ধান বলছে, দোতলায় মজুত প্লাইউড ও প্রচুর স্পিরিট জাতীয় দ্রাহ্য বস্তুর উপস্থিতির কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে৷ হোটেলের দোতলার নির্মাণে কাজের জন্য যে শ্রমিকরা ছিলেন তারা সম্ভবত রান্না করছিলেন বা বিড়ি- সিগারেটের আগুনের ফুলকি থেকে আগুনের সূত্রপাত৷ স্পিরিট জাতীয় কেমিক্যালের উপস্থিতি আগুনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়৷
সেখানেই ছিল রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার, আগুনের জেরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ করে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে৷ দোতলায় বিস্ফোরণ হওয়া সিলিন্ডার মিলেছে৷ ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছিল তিন থেকে ছ’তলা, জানলা না থাকা ও আবদ্ধ হওয়ার কারণে শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু৷
