বিচারপতি সুজয় পালের মন্তব্য, ‘‘এটা একটা নামী প্রকল্প। এটা হলে সাধারণ মানুষের উপকার হবে। বৈঠকে আপনারা কথা দিলেন যে যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে। তারপরেও যেটা পালন করছেন না!’’
আদালত উষ্মাপ্রকাশের পরে চিংড়িঘাটা মোড় বন্ধ হলে কী কী সমস্যা হতে পারে, তার খানিক ব্যাখ্যা দিয়ে রাজ্যের তরফে আইনজীবী বলেন, ‘‘যে জায়গা আটকানো হবে সেখানে সবথেকে বেশি অসুবিধা হবে। অ্যাম্বুলেন্স পর্যন্ত যাতায়াত করতে পারবে না। ’’
advertisement
যদিও রাজ্যের সেই যুক্তি মানতে চাননি বিচারপতি৷ বলেন, ‘‘সেটা এতদিন পর বুঝতে পারলেন? যখনই কাজ হোক এই অসুবিধা তো হবেই। তাহলে কি কাজ আটকে থাকবে ?’’
আরও পড়ুন : ‘যতদিন ইচ্ছে থাকতে পারেন,’ শেখ হাসিনার ভারতে থাকা নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করলেন জয়শঙ্কর
সব শেষে আদালত জানিয়েছে, কবে থেকে চিংড়িঘাটার ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ শুরু হবে আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে নতুন তারিখ জানাতে হবে রাজ্যকে। বিচারপতি সুজয় পালের মন্তব্য, ‘‘রাজ্যের নতুন যুক্তি নিয়ে আদালত আগ্রহী নয়। দ্রুত প্রকল্প রূপায়ণের ব্যবস্থা করতে হবে।’’
প্রসঙ্গত,চিংড়িঘাটা এলাকায় ৩৬৬ মিটার না জুড়লে অরেঞ্জ লাইনের কাজ সল্টলেকে ঢুকতে পারছে না বহুদিন। বিষয়টি নিয়ে জল গড়ায় হাইকোর্ট পর্যন্ত। আদালতের নির্দেশে সবপক্ষ বৈঠকে বসে গত ৯ সেপ্টেম্বর। সেখানে সিদ্ধান্ত হয় উৎসবের মরসুম মিটে গেলে নভেম্বরের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সপ্তাহের শুক্র থেকে রবিবার রাতে ট্র্যাফিক ব্লক নিয়ে কাজ শেষ করবে RVNL। সিদ্ধান্তে সায় দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু, তারপরেও চিংড়িঘাটা এলকার ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ আসেনি রাজ্যের তরফে৷ তাই কাজ এগোতে পারছেন না মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষও৷
