গতবছর রাজ্যের যে সব ক্লাব পুজা অনুদানের টাকা খরচের হিসাব এখনও দিতে পারেনি, তাদের অনুদান দেওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা চাপাতে পরামর্শ কলকাতা হাইকোর্টের। বিচারপতি সুজয় পাল ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর, আদালতের আগের যে নির্দেশ ছিল, তা মানতে হবে।
নির্দিষ্ট সময়ে আগের বছরের টাকা খরচের ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট জমা দিলে তবেই সেই সমস্ত ক্লাবকে অনুদান মঞ্জুর করতে হবে। এদিন ২০২২ সালের সেই নির্দেশই রাজ্যকে মনে করাল হাইকোর্ট।
advertisement
পাশাপাশি, আদালতের নির্দেশ, চলতি বছরে বিজয়া দশমীর একমাস পরে সমস্ত ক্লাবকে তাদের টাকা খরচের ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে রাজ্য পুলিশের ডিজি ও কলকাতা পুলিশের সিপির কাছে। দূর্গাপুজার ছুটির একমাস পর এই মামলার ফের শুনানি হবে।
বুধবার রাজ্য আদালতে জানিয়েছে, ৪১,৭৯৫টি ক্লাবের মধ্যে তিনটি ক্লাব খরচের হিসাব দেয়নি। ওই তিনটি ক্লাবই শিলিগুড়ির। জবাবে বিচারপতি পালের মন্তব্য, সংখ্যাটা এত কম যে মাইক্রোস্কোপ লাগবে।
অতীতে অনুদানের টাকার খরচের হিসাব না-দিলে কোনও পুজো কমিটিকে এ বার সরকারি অনুদান দেওয়া হবে কি না, গত সোমবারের শুনানিতে সেই প্রশ্ন তুলেছিল হাই কোর্ট। দুর্গাপুজো কমিটিগুলি খরচের হিসাব দিয়েছে কি না, সে বিষয়ে গত সোমবার তথ্য তলব করেছিল আদালত। জানতে চেয়েছিল, কত পুজো কমিটিকে এই অনুদান দেওয়া হয় এবং কতগুলি পুজো কমিটি টাকা খরচের হিসাব দেয়নি। খরচের হিসাব না-দেওয়া কমিটিগুলিকে রাজ্য কেন অনুদান দেওয়া বন্ধ করছে না, সেই প্রশ্নও করেছিল আদালত। তারই প্রেক্ষিতে রাজ্য এদিন আদালতে উপরোক্ত তথ্য দেয়৷
প্রসঙ্গত, দুর্গাপুজো কমিটিকে অনুদান দেওয়া নিয়ে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। সরকারি অর্থের অপব্যবহার হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন জনৈক মামলাকারী। তাঁর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং শামিম আহমেদের সওয়াল করেছিলেন, উপযুক্ত জায়গায় খরচ না করে জনগণের টাকা পুজো কমিটিগুলিকে বিলিয়ে দিচ্ছে রাজ্য সরকার। যদিও রাজ্যের বক্তব্য ছিল, ওই টাকা জনগণের স্বার্থেই ব্যবহার করার জন্য দেওয়া হচ্ছে। প্রসঙ্গত, দুর্গাপুজোর জন্য উদ্যোক্তাদের এ বছর ১ লাখ ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।