এদিন আদালতে অন্তবর্তী রিপোর্ট জমা দেয় ইডি৷ ইডি-র তরফে আদালতে জানানো হয়, রিপোর্টে এমন কিছু ব্যক্তির নাম রয়েছে যা তাঁরা প্রকাশ্যে বলতে চাইছেন না। যুক্তি হিসাবে ইডি-র আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী বলেন, ‘‘আমাদের আধিকারিক কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পান না৷’’
এরপরেই বিচারপতির প্রশ্ন, তবে আর্থিক লেনদেনের গতিপথ কী? ইডি আশ্বাস দেয়, আগামী ১০ অক্টোবর এবিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট পেশ করবেন তাঁরা। তাঁদের সময় দেওয়া হোক।
advertisement
আরও পড়ুন: ইডি-র দফতরে যাচ্ছেন না অভিষেক! সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখলেন ‘পারলে আটকে দেখান!’
তবে এরই মধ্যে ইডি-র আইও-কে তীব্র ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা৷ বিচারপতি বলেন, ‘‘প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার ম্যাগনিটিউড অনেক। আদালতের প্রশ্নের উত্তরই দিতে পারেনি। এই বিপুল ব্যাপ্তির নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে আত্মবিশ্বাসী অফিসারকে চায় আদালত। ইডি আইও-র আত্মবিশ্বাসের অভাব রয়েছে। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি আইও-র উপরে আদালত ভরসা হারিয়েছে। তাই সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে৷’’
যদিও, ইডি আইনজীবী বলেন, ‘‘আমাদের ১৩১টা মামলার তদন্ত করতে হচ্ছে। এক একজন আধিকারিককে ২২টা করে মামলা সামলাতে হচ্ছে। আমরা সর্বশক্তি দিয়ে তদন্ত করছি।’’ যদিও তাঁর কোনও কথাতেই এক্ষেত্রে আমল দিতে দেখা যায়নি বিচারপতিকে৷ তিনি স্পষ্ট বলেন, ‘‘আমি আগের দিন আপনার তদন্তকারী আধিকারিক মিথিলেশ কুমার মিশ্র-র সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পেরেছি যে তিনি এই তদন্তের জন্য যোগ্য ব্যক্তি নন।’’
পাশাপাশি, এদিন বিচারপতি সিনহা এ-ও বলেন, ৩ অক্টোবরের অনুসন্ধান এবং তদন্ত যেন কোনও ভাবেই ব্যাহত না হয়৷ তা দেখার জন্য ED অধিকর্তাকে বিশেষ নির্দেশ দেন বিচারপতি। প্রসঙ্গত, আগামী ৩ অক্টোবর দুর্নীতি মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করেছে ইডি৷ যদিও এদিন অভিষেক স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি ওই দিন দিল্লির কর্মসূচিতেই যোগ দেবেন৷
তবে কি আদালতের এই নির্দেশের পিছনে লুকিয়ে অন্য ইঙ্গিত৷ এদিন আদালতে অভিষেক ট্যুইট প্রসঙ্গও তুলতে দেখা যায় আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে৷