হাওড়ার একটি মামলার প্রেক্ষিতে দেখা যায় যে একটি বিদ্যালয়ে ১৩ জন পড়ুয়ার জন্য ৫ জন শিক্ষক রয়েছেন। অন্য দিকে ওপর একটি স্কুলে প্রায় ৫৫০ পড়ুয়া আছে, কিন্তু বাংলার শিক্ষক নেই, ২০১৬ সাল থেকে অঙ্কের শিক্ষক নেই। তার পরেই বিদ্যালয়ের অনুমোদন প্রত্যাহারের জন্য শিক্ষা দফতরকে পরামর্শ দেন বিচারপতি বসু।
উত্তরে শিক্ষা দফতরের আইনজীবী জানান, "এটা করতে গেলে একটু সমস্যা রয়েছে। স্থানীয় স্তরে সমস্যা হতে পারে। রাজনৈতিক চাপ আসতে পারে।"
advertisement
এর পরেই বিচারপতি বসুর মন্তব্য, "রাজনৈতিক চাপের কথা ভুলে যান, রাজ্যের যে স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা অত্যন্ত কম তার অনুমোদন প্রত্যাহার করুন।" বিচারপতি বলেন, "অচলায়তন ভাঙতে গেলে অনেক সময় লাগবে। কিন্তু শুরুটা তো হোক। বদলির পর না গেলে পরের মাস থেকে মাইনে বন্ধ করে দেব।" রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতরকে বিচারপতির পরামর্শ, "জেলা স্তরে নতুন বদলি নীতির বাস্তবায়ন শুরু করুন। যে চ্যালেঞ্জ করবে করুক।"
আরও পড়ুন, 'ভুয়ো' কাস্ট সার্টিফিকেট দেখিয়েও SSC-তে চাকরি! রাজ্যকে তীব্র ভর্ৎসনা আদালতের
আরও পড়ুন, ৬ বছর পরেও জানা যায়নি TET-এর ফল! মানিককে ২ লক্ষ টাকার জরিমানার নির্দেশ বহাল
পাশাপাশি হাওড়ার রসপুর বালিকা বিদ্যালয়ে একজন সিভিক ভলান্টিয়ারকে পড়ুয়াদের নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা যায় কিনা সেটা খতিয়ে দেখতে হাওড়ার পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দেন তিনি।
আগামীন ১৭ই মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি।