চলছে আগুন নেভানোর কাজ। জানা গিয়েছে, রাত ১০:৪৫ নাগাদ দমকলের কাছে আগুন লাগার খবর আসে। নিমেষে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় দমকলের ৭ টি ইঞ্জিন। দমকল সূত্রে খবর, ফুলের দোকানে প্রথম আগুন লাগে। সেখান থেকেই ছড়িয়ে পড়ে আগুন। ব্রিজের নীচে রয়েছে একের পর এক দোকান। আগুনে দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে দোকানগুলি। এলাকাটি অত্যন্ত ঘিঞ্জি।ফলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হচ্ছে দমকল কর্মীদের। আশঙ্কা করা হচ্ছে, কোনও দোকানে দাহ্য পদার্থ থাকলে আগুন আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকছে।
advertisement
শিয়ালদহ স্টেশনের মেন লাইনের এক থেকে পাঁচ নম্বর প্লাটফর্মের যে প্রবেশদ্বার, তার সামনে থেকে বেরিয়েই এই দোকানগুলি। আগুনে ভস্মীভূত ৪০টির বেশি দোকান। বেশিরভাগ দোকানই খাবারের দোকান,চা-বিস্কুটের দোকান,ভাত-রুটির হোটেল,সিগারেট বিক্রির দোকান।অস্থায়ী বেশ কয়েকটি ফল, সবজির দোকানও পুড়ে ছাই। অত্যন্ত ঘিঞ্জি জায়গা হওয়ায় দমকল কর্মীদের চূড়ান্ত সমস্যায় পড়তে হয়।
গত সোমবার তারাতলা কেপিটি কোয়াটার্স সংলগ্ন অঞ্চলে অগ্নিকাণ্ডের ফলে ভস্মীভূত হয়েছিল ২৫টিরও বেশি ঝুপড়ি। একই দিনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে চিংড়িঘাটার চাউলপট্টি রোডের ভ্যাটে। তার আগে ৯ ফেব্রুয়ারি রাতে নারকেলডাঙায় খালপাড়ের পাশের বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। দীর্ঘ চার ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নেভায় দমকলের ১৬টি ইঞ্জিন। পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল ৩০ টিরও বেশি ঘর।
গত মাসেই ব্যস্ত শিয়ালদহ স্টেশনের বাইরে ফুড-কোর্টে আগুন লেগেছিল। শনিবার বিকেলের সেই অগ্নিকাণ্ডে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল স্টেশন চত্বরে। বিকেল ৪টে নাগাদ শিয়ালদহ স্টেশনের ঠিক পাশের ‘ফুড কোর্ট’-এ আগুন লাগে। আগুন চারপাশে ছড়াতে শুরু করে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় স্টেশন চত্বর। খবর দেওয়া হয় দমকলে। এরপর ঘিঞ্জি এলাকায় ফায়ার-বল ছুড়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হয়। তাতেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।