আরও টাকা, আরও সোনা, আরও সম্পত্তি... সেই যে ১৬ জুলাই রাতে কলকাতা শহরে টাকার পাহাড় উদ্ধার হল, তারপর আর থামছেই না! রোজ-ই কলকাতা-সহ রাজ্যের নানা জায়গা থেকে উদ্ধার হচ্ছে বস্তা-বস্তা টাকা। ইতিমধ্যেই পণ্ডিতিয়ায় এক অভিজাত আবাসনে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের একটি ফ্ল্যাটের হদিশ পেয়েছে ইডি। গত মঙ্গলবার সেখানে যায় ইডি আধিকারিকরা! কিন্তু ঢুকতে পারেননি, তাই আজ ফের পণ্ডিতিয়া রোডের ফোর্ট ওয়েসিসে হানা দেয় ইডি। সঙ্গে চাবিওয়ালা। আবাসনের ব্লক ৬-এর ৫০৩ নম্বর ফ্ল্যাটে চলে তল্লাশি।
advertisement
আজ পুরদস্তুর প্রস্তুতি নিয়ে পণ্ডিতিয়ায় এসেছিল ইডি। সঙ্গে আসা চাবিওয়ালা ছেনি-হাতুড়ি দিয়ে ফ্ল্যাটের দুটি দরজাই ভাঙেন। যে-সে দরজা নয়! এক্কেবারে চিন থেকে আনানো হয়েছে ব্লক ৬-এর ৫০৩ নম্বর ফ্ল্যাটের এই দরজা। চাবিওয়ালা জানান, বছর দেড়েক আগেই তিনি শুনেছিলেন এই আবাসনে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট রয়েছে, তবে কত নম্বর ফ্ল্যাট তা জানতেন না! জানা যাচ্ছে, দরজাটি বানানো হয়েছিল ২০১০ সালে।
শুক্রবার পর্যন্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে থাকতে হবে ইডি হেফাজতে। তাই বৃহস্পতিবার সকাল দশটা থেকেই পার্থ-অর্পিতাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে বলে খবর। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১২সালে ১ নভেম্বর খোলা হয়েছিল অপা ইউটিলিটিজ সার্ভিসেস, যেখানে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়-দুজনেরই শেয়ার ছিল। জিজ্ঞাসাবাদে অর্পিতা মুখোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, দুটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য।
আরও পড়ুন: বিজেপির 'পোস্টার বয়' থেকে মমতার পূর্ণমন্ত্রী, বঙ্গ রাজনীতিতে রঙিন মানুষ বাবুল সুপ্রিয়
সেই ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য তদন্তকারীদের পক্ষ থেকে দেখা হচ্ছে। গত ৯ বছরে তারা কী কী কাজ করেছেন এই পার্টনারশিপ, এর মাধ্যমেই চারটি ফ্ল্যাট কেনার হদিশ পাওয়া গিয়েছিল। নতুন করে আবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে এ বিষয়ে। ইডি মনে করছে, জিজ্ঞাসাবাদে আরও নতুন বেশ কয়েকটি ফ্ল্যাটের হদিশ মিলতে পারে।
ইডি সূত্রে খবর, অপা ইউটিলিটিজ কোম্পানির ডিট দেখে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছে, ২০১২ সালের নভেম্বর মাসে এই পার্টনারশিপ কোম্পানি তৈরি হয়েছিল এবং নিয়মিত এই কোম্পানির ব্যালেন্স শিট জমা দিয়ে ইনকাম ট্যাক্স জমা দিত। গত ৯ বছর ধরে কীভাবে কাজ করেছে এই সংস্থা, সেই সমস্ত তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই কোম্পানির কথা সামনে আসে ইডি আধিকারিকদের।