কলকাতা বিমানবন্দরের দীর্ঘতম ট্যাক্সিওয়ে, ট্যাক্সি ট্র্যাক A-এর অর্ধেকেরও বেশি, যা মেরামতের কারণে বন্ধ ছিল, শুক্রবার ট্যাক্সিওয়ে C-এর সঙ্গে পুনরায় চালু করা হয়েছে , যা আপগ্রেডের জন্য বন্ধ ছিল। দুটি ট্যাক্সি ট্র্যাক পুনরায় চালু হওয়ার ফলে কলকাতা বিমানবন্দরে বিমান ওঠা-নামার অনেক সুবিধা হবে। টার্মিনালের সবচেয়ে কাছের ট্যাক্সিওয়ে A, দৈর্ঘ্যে ২,৯৪০ মিটার হলেও, আপগ্রেডের জন্য ১,৬৪৪ মিটার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
advertisement
আগে, কলকাতা বিমানবন্দরে ব্যস্ত সময় কম ছিল। কিন্তু এখন সারা দিন ফ্লাইট বিতরণ করায়, ছয় থেকে সাতটি পিক আওয়ার রয়েছে। যদি ট্যাক্সিওয়ে A এবং সমান্তরাল ট্যাক্সিট্র্যাক F উভয়ই চালু থাকে তবে বিমান ওঠা-নামার সময় সুবিধা হবে। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, কয়েকটি এলাকায় এমন ভাবে পার্কিং বে-গুলি রয়েছে, যেখানে একটি থেকে বিমান বেরিয়ে রানওয়ের পথে যেতে গিয়ে কোনও কারণে আটকে গেলে পিছনের পার্কিং বে-তে দাঁড়িয়ে থাকা বিমানগুলিরও রানওয়েতে পৌঁছনোর উপায় থাকে না। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের এক কর্তার কথায়, ‘‘এখন কলকাতায় বিমানের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। ফলে দু’টি বিমান উড়ে যাওয়ার মাঝের সময় কমিয়ে ফেলতে হচ্ছে। এমনকি যে বিমানগুলি কলকাতায় নামছে, সেগুলিকে দাঁড় করানোর জন্যও পার্কিং-বে তাড়াতাড়ি খালি করার প্রয়োজন হচ্ছে।’’ট্যাক্সিওয়ে এফ-সহ এই নতুন ট্যাক্সিওয়ের মাধ্যমে প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ফ্লাইট চলাচল বিদ্যমান ৩৫টি থেকে চিত্তাকর্ষকভাবে ৪৫টিতে উন্নীত করা হবে।
আরও পড়ুন-সূর্য-বুধের মহামিলনে কাঁপবে বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড…! ভাদ্র মহাপুরুষ রাজযোগে ‘কোটিপতি’ ৫ রাশি, লাগবে লটারি, খুলবে পোড়া কপাল
চারটি নতুন ট্যাক্সিওয়ের মাধ্যমে কলকাতা বিমানবন্দরের ধারণক্ষমতা ৩০টি বৃদ্ধি পেয়েছে ট্যাক্সিওয়ে এফ, যা প্রাথমিক রানওয়ের উত্তর প্রান্তকে সংযুক্ত করে, রানওয়েতে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই ছেড়ে যাওয়া বিমানগুলিকে উড্ডয়ন শুরু করতে সক্ষম করে, যা গুরুত্বপূর্ণ সময় সাশ্রয় করে। এছাড়াও, তিনটি দ্রুত প্রস্থান ট্যাক্সিওয়ে (RET) অবতরণের সময় প্রায় ১৫ সেকেন্ড কমিয়ে দেবে, যার ফলে প্রতি ঘণ্টায় আরও ৭ থেকে ১০টি ফ্লাইট অবতরণ বা উড়ে যাওয়ার সুবিধা পাবে।