এ দিন শিলিগুড়ি থেকে অভিযুক্ত সজল সরকারকে গ্রেফতার করেছে বিধাননগর গোয়েন্দা শাখার পুলিশ৷ তাঁকে কলকাতায় নিয়ে এসে জেরা করা হবে৷ অভিযোগ, গত ২৮ অগাস্ট নিউ টাউনে রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মনের ফ্ল্যাটে স্বর্ণব্যবসায়ী স্বপন কামিল্যাকে পিটিয়ে খুনের সময় এই সজল সরকারও সেখানে উপস্থিত ছিলেন৷
এর আগে স্বর্ণব্যবসায়ী হত্যাকাণ্ডে আরও দু জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ৷ ঘটনায় মূল অভিযুক্ত জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মনের কলকাতার গাড়ির চালক রাজু ঢালি এবং বিডিও-র বন্ধু পেশায় ঠিকাদার তুফান থাপাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ৷ তাঁদের জেরা করেই পুলিশ জানতে পেরেছে, ঘটনার দিন ছ জন মিলে ওই স্বর্ণব্যবসায়ীকে নিউ টাউনের ফ্ল্যাটে মারধর করে৷ সেই মারধরের সময় মাথায় আঘাত লেগে স্বপন কামিল্যা নামে ওই ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়৷ এর পর বিডিও প্রশান্ত বর্মনের নির্দেশেই ওই স্বর্ণব্যবসায়ীর দেহ নিউ টাউনের যাত্রাগাছির খাল পাড়ে ফেলে আসা হয়৷ বিডিও-র নীলবাতি লাগানো সরকারি গাড়িতেই নিয়ে যাওয়া হয় দেহ৷ এখনও পর্যন্ত তিন জন গ্রেফতার হলেও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত অধরা মূল অভিযুক্ত রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মনকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ৷
advertisement
পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা স্বপন কামিল্যা নামে ওই ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগ উঠেছিল৷ বিডিও-র বাড়ি থেকে চুরি যাওয়া সোনা ওই ব্যবসায়ীর কাছে তাঁর দত্তাবাদের দোকানে বিক্রি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ৷ সেই সোনা উদ্ধার করতেই ওই ব্যবসায়ীর খোঁজ শুরু করেন বিডিও৷ গত ২৮ অক্টোবর ওই স্বর্ণব্যবসায়ীকে তাঁর দত্তাবাদের দোকান থেকে গাড়িতে করে তুলে নিয়ে আসেন ওই বিডিও এবং তাঁর সঙ্গীরা৷
