সোম ও মঙ্গলবার দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া থাকবে বাংলার উপকূলের জেলাগুলিতে। ঘূর্ণিঝড় ছুঁয়ে যাবে সুন্দরবন এলাকা। তার প্রভাবে ঝোড়ো হাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে উপকূলের জেলা। তার প্রভাব পড়তে পারে কলকাতাতেও। হালকা ঝোড়ো হওয়া হলেও বৃষ্টির আশঙ্কা মাথাব্যাথার কারণ কলকাতা পুরসভার।
কলকাতা পুরসভা কিভাবে মোকাবিলা করা হবে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংকে তা নিয়ে বৈঠকে বসেন ফিরহাদ হাকিম। ছিলেন পুরসভার কমিশনার বিনোদ কুমার সহ কলকাতা পৌরসভার বিভিন্ন বিভাগের ডিজি ও আধিকারিকেরা। কলকাতা পৌরসভার বিল্ডিং বিভাগ থেকে নিকাশি বিভাগ এমনকি আলো বিভাগ কিভাবে প্রস্তুতি নেবে সেই সমস্ত বিষয়ে আলোচনা চূড়ান্ত হয় এছাড়াও বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং বড় আধিকারিকরা কি কি প্রস্তুতি নিবেন সে সব বিষয়ক রূপরেখা নিশ্চিত করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন - ক্রিকেটারদের সুন্দরী বান্ধবী এবং স্ত্রীদের চেনেন? আবেদনে পাগল হয়ে যাবেন কিন্তু
এই জরুরি বৈঠকে বেশ কয়েকটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
★২২ তারিখ শনিবার থেকে কলকাতা পৌরসভার সমস্ত বিভাগের সমস্ত কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি দেওয়া পর্যন্ত এই ছুটি বাতিল থাকবে।
★সমস্ত বিপদজনক বাড়ি থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে স্থানীয় স্কুল বা কমিউনিটি হলে রাখতে হবে। এদের খাওয়া-দাওয়ার দায়িত্ব নেবে কলকাতা পৌরসভা।
★সমস্ত এলাকায় সচেতনতামূলক প্রচার করতে হবে। মাইক লাগিয়ে এই প্রচার করতে হবে বিশেষ করে বিপজ্জনক বাড়ি সংলগ্ন এলাকায়।
★পুরসভার সমস্ত ড্রেনেজ পাম্পিং স্টেশনকে সক্রিয় রাখতে হবে। সমস্ত পাম্প চালু আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় জমা জল দ্রুত সরিয়ে ফেলার জন্য অস্থায়ী পাম্পের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
★জল জমে এমন জায়গায় বাতিস্তম্ভ গুলো খতিয়ে দেখতে হবে। পরীক্ষা করে দেখতে হবে যেন সংযোগ ঠিক থাকে। প্রয়োজন হলে সেই এলাকায় জল জমার আগেই বিপজ্জনক বোর্ড লাগাতে হবে। হুকিং রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
★ঝড়ে গাছ পড়ে গেলে তার জন্য উদ্যান বিভাগ এবং জঞ্জাল সাফাই বিভাগকে সক্রিয় থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।।
★পুরসভার কন্ট্রোল রুম 24 ঘণ্টা খোলা থাকবে। কন্ট্রোল রুমের ফোন নম্বর 91 33 2286-1212/1313/1414, ফ্যাক্স নম্বর- 91 33 2286-1444৷
আরও পড়ুন - সত্যিই কী পাকিস্তানের জার্সি পড়েছেন রোহিত শর্মা, ভাইরাল ছবিতে লুকিয়ে কোন রহস্য
একইভাবে ফিরহাদ হাকিম মন্ত্রি হিসেবে বৈঠক করেন রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভার সঙ্গে। ভার্চুয়াল এই বৈঠকে ছিলেন পুরো ও নগর উন্নয়ন দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি খালিল আহমেদ। এই বৈঠকে মূলত কাঁথি, দীঘা, বসিরহাট, টাকি, ডায়মন্ড হারবার, হলদিয়া সহ উপকূলবর্তী বিভিন্ন পৌরসভার সঙ্গে বেশিক্ষণ আলোচনা করেন মন্ত্রী। তাঁদেরকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন প্রস্তুত থাকার।
কিভাবে এই ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় পুরসভার প্রশাসনকে প্রস্তুত থাকতে হবে তার রূপরেখা তৈরি করে দেন ফিরহাদ হাকিম। বেশ কয়েকটি পুরসভার থেকে ত্রিপলের চাহিদা জানিয়ে আর্জি করা হয় মন্ত্রীর কাছে। মন্ত্রী স্পষ্ট তো জানিয়েছেন প্রস্তুতিতে যেন খামতি না থাকে জেলাশাসকদের ত্রিপল দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে দিয়েছেন এছাড়াও বিপদজনক বাড়ি বা নিচু এলাকা থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে এনে কমিউনিটি হল বা স্কুলে রেখে তাদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করতে যা প্রয়োজনীয় খরচ তা মেটাবে পুর ও নগর উন্নয়ন দফতর।
BISWAJIT SAHA