মুখোপাধ্যায়ের ''নিজের বোন" চট্টোপাধ্যায়! আসলে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের (Subrata Mukherjee) নিজের বোন তনিমা চট্টোপাধ্যায় (Tanima Chatterjee)অন্য কেউ নন। সেটা বুঝিয়ে দিতে জোড়া পাতার প্রার্থীর ভোট প্রচারে এমনই পোস্টারের দেখা মিলছে।
আসলে প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের এলাকার বিদায়ী কো-অর্ডিনেটর সুদর্শনা মুখোপাধ্যায়। মুখোপাধ্যায় পদবী দেখে মানুষ যেন রক্তের সম্পর্ক ভুলে না যান সেই প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে বালিগিঞ্জের বর্ধিষ্ণু পাড়ায়। তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় প্রথমে নাম ছিল প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বোন তনিমা চট্টোপাধ্যায়ের। প্রার্থী হয়েছেন জেনে তনিমাদেবী এলাকায় প্রচার শুরু করে দিয়েছিলেন। শুরু হয়েছিল দেওয়াল লিখন।
advertisement
আরও পড়ুন: দাদা তৃণমূল, ভাই বিজেপি! দুই দলের প্রার্থী হয়েও সম্পর্ক অটুট রাজেশ- রাজীবের
এরই মধ্যে প্রতীক আনতে গিয়েই বাঁধে গোল। প্রার্থী হিসাবে বেছে নেওয়া হয় ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কো-অর্ডিনেটর সুদর্শনা মুখোপাধ্যায়কে। ক্ষোভে নির্দল হিসেবে ওই ওয়ার্ড থেকেই ভোটে দাঁড়িয়েছেন তনিমা চট্টোপাধ্যায়৷ জোড়া ফুলের বিরুদ্ধে তাঁর প্রতীক জোড়া পাতা৷
এখন ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডে জোড়া ফুল এবং জোড়া পাতার মধ্যে জোর লড়াই। দলের তরফে চেষ্টা করা হয়েছিল, তনিমা চট্টোপাধ্যায় যদি মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। মনোনয়ন প্রত্যাহার না হলে যে দল কড়া ব্যবস্থা নেবে তাও বলা হয়েছিল। কিন্তু নিজের অবস্থান থেকে এতটুকু সরে আসেননি তনিমা চট্টোপাধ্যায়। ফলে দল বহিষ্কার করলেও ভোটের প্রচারে চুটিয়ে জনসংযোগ সারছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের "নিজের বোন"।
আরও পড়ুন: পুরভোটে ২৩ হাজার পুলিশ দিয়েই ভোট! রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ চাইল বিজেপি, ফের কমিশনের দরজায়...
ওয়ার্ডের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে দেখা গেল বাহারি পোস্টার। আকাশি ও ঘন নীলের তনিমা চট্টোপাধ্যায়ের পোস্টার-ব্যানার নজর কাড়তে বাধ্য সকলের। সেখানে রয়েছে প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের নীল কোট পড়া একটি ছবি। পাশে তনিমা চট্টোপাধ্যায়ের ছবি। যেখানে লেখা কলকাতা পৌরসভা নির্বাচনে '৬৮ নম্বর ওয়ার্ডের হৃত গৌরব ফিরিয়ে আনতে নির্দল প্রার্থী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের নিজের বোন তনিমা চট্টোপাধ্যায়কে জোড়া পাতা চিহ্নে ভোট দিয়ে ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডকে দুর্নীতি মুক্ত করতে সাহায্য করুন।'
আর এখানেই রাজনৈতিক লড়াই জমে উঠেছে। তনিমাদেবী অবশ্য পদবীর গেরো মানতে নারাজ। তিনি বলছেন, " আমি সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের নিজেরই বোন। আমার নিজেরই দাদা। অন্য কেউ যাতে অন্য কিছু না ভাবে তাই মনে করিয়ে দিয়েছি।" তাঁর দাবি, এলাকায় কী কাজ হয়েছে এলাকার মানুষ তা জানেন।
সুদর্শনা অবশ্য এই লড়াইয়ে মন্তব্য করতে নারাজ। তিনি বলছেন, "কোভিড থেকে আমফান হয়ে ইয়াস, আমি কী কাজ করেছি এলাকার মানুষ তা জানেন।" তাই পদবীর মিল ও 'নিজের বোনের' লড়াইয়ে অন্য মাত্রা পেয়েছে কলকাতার পুরভোটের ৬৮ নম্বর ওয়ার্ড।