আরও পড়ুন: বিধানসভার প্ল্যানেই কলকাতা পুরসভা, প্রতি ওয়ার্ডের 'তুরুপের তাসে' নজর তৃণমূলের!
একদিকে শান্তিপূর্ণ ও অবাধ নির্বাচন এবং অন্যদিকে পুর উন্নয়ন— এই দ্বিমুখী কৌশলেই কলকাতাবাসীর মন জয় করে বোর্ড দখল করতে আগ্রহী ঘাসফুল শিবির (KMC Election 2021)। কলকাতা পুরসভার বিদায়ী পৌর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম অবশ্য জানিয়েছেন, একাধিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। তার উপর ভিত্তি করেই জোর দেওয়া হবে নতুন পুর বোর্ডের কাজে। কী কী থাকতে পারে পরিকল্পনায়? সূত্র বলছে, ফি বছর জল জমে কলকাতার বেশ কতকগুলি অংশে। বেহালা, খিদিরপুর, তারাতলা, আর্মহাস্ট্র স্ট্রিট, ঠনঠনিয়ার মতো জায়গায়। নতুন পুরবোর্ড চাইছে আগামী দিনে এটি সম্পূর্ণ বন্ধ করতে। দ্বিতীয়ত, পানীয় জলের পর্যাপ্ত যোগান। পরিশ্রুত পানীয় জল মেলে সর্বত্র। কিন্তু শহরের বেশ কতকগুলি অংশে সেই জলের পরিমাণ কম। আগামী দিনে সেই জলের গতি বাড়াতে চায় নতুন পুর বোর্ড।
advertisement
আরও পড়ুন: নোংরার আঁতুড়ঘর ১নম্বর ওয়ার্ডের ২২নম্বর বস্তি, বাম প্রার্থী ঘুরে দেখে যা বুঝলেন
তবে আগামী পুর বোর্ড জোর দিচ্ছে পরিবেশের ওপরে। কলকাতা শহরের দূষণ রুখতে ব্যবস্থা নিতে চায় তারা। সেই কারণেই গাছের সংখ্যা বৃদ্ধি। ই-ভেহিক্যালের সংখ্যা বাড়ানো পরিকল্পনায় নেওয়া হয়েছে। ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, "কলকাতার দূষিত হাওয়া যায় হাওড়ায়। সেখান থেকে দূষিত হয়ে আবার ফিরে আসে। এই দূষণ রোধ করতেই হবে।" এর পাশাপাশি নতুন পুর বোর্ড চাইছে হেরিটেজ সংরক্ষণে জোর দিতে৷ শহর কলকাতায় একাধিক হেরিটেজ ভবন আছে যা সংরক্ষিত করতে হবে। এর সঙ্গে শহরের দৃশ্য দূষণ রুখতে চায় তারা। ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, "তারের জঞ্জাল সরাতেই হবে। হোর্ডিং, পোস্টার যত্রতত্র দেওয়া চলবে না।" এই সব বিষয়কে সামনে রেখেই এগোতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস।
পুরসভা সূত্রে খবর, ১২টি বিভাগের কাজের খতিয়ান তুলে ধরা হবে। মূলত পানীয় জল, আলো, রাস্তা, স্বাস্থ্য, নিকাশি এবং জঞ্জাল অপসারণ, বস্তি উন্নয়নে শহরজুড়ে যে কাজ হয়েছে, সেই তালিকাই ভোটারদের কাছে পৌঁছে দিতে চায় শাসকদল। সূত্র বলছে, গ্রামের পাশাপাশি নগরোন্নয়নে জোর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতাকে পরিচ্ছন্ন রাখার পাশাপাশি সৌন্দর্যায়নেও বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। স্বভাবতই, পুরভোটে তিলোত্তমার সামগ্রিক উন্নয়নকে হাতিয়ার করেই বাজিমাত করতে চাইছে তৃণমূল।