একদিকে তৃনমূলের কাউন্সিলরের বাজেট বক্তব্য চলছে। অন্যদিকে হাউজে কাউন্সিলরদের মধ্যে মোবাইলে মগ্ন প্রায় সবাই। কেউ মেসেজ, কেউ ব্যস্ত গেম খেলায়, কেউ তারস্বরে কথা বলে চলেছেন ফোনে। চেয়ারপারসন মালা রায় , বার কয়েক সতর্ক করেন। সতর্ক বার্তায় পাত্তা দেননি ফোনে মত্ত কাউন্সিলর। আর তার জেরেই বেজায় চটলেন চেয়ারপার্সন মালা রায়।
আরও পড়ুন - WPL 2023: জেমাইমা মনে করালেন জন্টিকে, দিল্লি তারকার অবিশ্বাস্য ক্যাচের ভিডিও ভাইরাল
advertisement
তিতিবিরক্ত চেয়ারপারসন মোবাইল কেড়ে নিতে নির্দেশ দিলেন। বাজেট অধিবেশনের শেষ দিনে এমন ঘটনার সাক্ষী রইলেন অধিবেশন কক্ষে হাজির ডান বাম সব কাউন্সিলর রা।
আরও পড়ুন - Bardhaman News: বরাদ্দ হল ৬০ কোটি, বর্ধমান মেডিকেলে দ্রুত চাইল্ড হাব গড়ার উদ্যোগ
মঙ্গলবার বাজেট আলোচনার শেষ দিনে ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জলি বসুকে দেখা যায় মোবাইলে তারস্বরে কথা বলছেন। সেই সময় বক্তব্য রাখা অনিন্দ্য কিশোর রাউতকে থামতে বলেন মালা রায়।
এর পর কক্ষে উপস্থিত পুর-কর্মীদের নির্দেশ দেন। মালা রায় বলেন, “এক্ষুনি ওনার মোবাইল কেড়ে নিন।” নির্দেশ মত মোবাইল নিয়ে আসতেও যান কর্মচারী। যদিও মোবাইল দিতে চাননি ওই কাউন্সিলর।
দেশের বড় বেশ কয়েকটি শহরের তুলনায় কতটা স্বাচ্ছন্দ্যে আছেন কলকাতার মহানগরবাসী! সেই বিষয় বক্তব্যে তুলে ধরছিলেন বক্তা অনিন্দ্য। সেসব না শুনেই মোবাইলে গল্প করতে ব্যস্ত ছিলেন কাউন্সিলর জলি বসু।
ক্ষুব্ধ মালা রায় কাউন্সিলরকে জিজ্ঞেস করেন,
”কেন হাউসের মধ্যে এমন ব্যবহার করছেন?” উত্তরে হাসতে থাকেন কাউন্সিলর। মালা রায়ের বক্তব্য, “হতেই পারে জরুরি কথা। সেক্ষেত্রে বাইরে গিয়ে কথা বলবেন। কাউন্সিলর মেয়র পারিষদরা বক্তব্য রাখছেন, আর কেউ মোবাইল ঘাঁটছেন। গল্প করছেন।”
চেয়ারপার্সন মালা রায়ের ফের প্রশ্ন, “যাঁরা এখানে বলেন তারা পড়াশোনা করে আসেন। মন দিয়ে যদি সে বক্তব্য না শোনেন, আপনারা হাউজে আসেন কেন?”
এত কিছু বলার পরেও এদিন অনেক কাউন্সিলরকেই টেবিলের নিচে লুকিয়ে মোবাইল ঘাটতে দেখা যায়। কেউ আবার ঘুমিয়ে পড়েন চেয়ারে বসেই।
উল্লেখ্য, কাউন্সিলরদের খামখেয়ালী মনোভবের জেরে উপস্থিত থাকা নিয়ে তৃণমূল কাউন্সিলরদের মুখ্য সচেতক বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত হুইপ জারি করেন। সোমবার সেই হুইপ জারি করার পর আজ তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলররা প্রায় সকলেই উপস্থিত ছিলেন। শারীরিক ভাবে হাজির থাকলেও কিন্তু মানসিকভাবে কতটা কাউন্সিলররা হাউজে ছিলেন সেটাই প্রশ্নের!
BISWAJIT SAHA