আরও পড়ুন-আজ দুই বঙ্গেই বৃষ্টির পূর্বাভাস, জেনে নিন কোন জেলায় আবহাওয়া কেমন থাকবে
দুটি অংশ পরস্পরের মধ্যে যোগাযোগ রেখে চলবে। ফলে লোকো পাইলট বা অন্য রেলকর্মী ভুল করলেও কোনওভাবেই সিগন্যাল অতিক্রম করবে না ট্রেন। মানুষের ভুল কমাতেই এই প্রযুক্তির ব্যবহার। এই প্রযুক্তি ব্যবহারে রেল বেলাইন হওয়ার মতো ঘটনা কমানো যাবে বলেই রেলকর্তাদের একাংশের মত। হাওড়া-দিল্লি রুটে বেশি গতির ট্রেন চালাতে চাইছে রেল। সেই পথে এই প্রযুক্তি ব্যবহার হবে। আগামী তিন বছরের মধ্যেই এই পথের পূর্ব রেলের যে ২৬০ কিমি অংশ পড়ে, তাতে কবচ প্রযুক্তির সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। এমনকী, শিয়ালদহ ও হাওড়া শাখার ৩২৭ কিলোমিটার ট্র্যাকেও ব্যবহার হবে এই কবচ প্রযুক্তি।
advertisement
পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার অরুণ অরোরা জানিয়েছেন, ‘‘আগামী দিনে ধাপে ধাপে এই প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়ে যাবে। এটা হতে চলেছে একটি নির্ভুল প্রযুক্তি।’’
‘কাওয়াচ’ বা ‘কবচ’ সিস্টেম কি? এটি একটি অ্যান্টি-কলিশন ডিভাইস (ACD) নেটওয়ার্ক। রেডিও কমিউনিকেশন, মাইক্রোপ্রসেসর এবং গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম (জিপিএস) প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে এটি কাজ করে। ডেভেলপারদের দাবি, এটি ভারতীয় রেলকে 'জিরো দুর্ঘটনা'-র লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে।
দুটি ট্রেন কাছাকাছি এলে, প্রযুক্তিটি তাদের একে অপরের গতিপথ সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে সাহায্য করবে। প্রয়োজন হলে এটি একটি 'স্বয়ংক্রিয়' ব্রেকিং অ্যাকশন শুরু করতে সাহায্য করবে। যদি তাদের 'সংঘর্ষের ঝুঁকি' রয়েছে বলে মনে করা হয়, সেক্ষেত্রে স্বংক্রিয়ভাবে ব্রেকিং বা সতর্কতা পাঠানো হবে। দেশীয় এই অ্যান্টি-কলিশন প্রযুক্তি SIL4 সার্টিফায়েড। এর মানে ১০ হাজার বছরে একটি একক ত্রুটির সম্ভাবনা রয়েছে। এমনটাই বলছে প্রবাবিলিটির অঙ্ক।