গতকাল রাতে কসবা তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্তকুমার ঘোষকে প্রাণে মারার চেষ্টা হয়৷ যদিও বরাতজোরে প্রাণে বাঁচেন তৃণমূল কাউন্সিলর৷ ঘটনাস্থল থেকেই যুবরাজ সিং নামে এক দুষ্কৃতী ধরা পড়ে৷ ওই দুষ্কৃতীর মুখেই শোনা গিয়েছিল জনৈক ইকবালের নাম৷ পুলিশ সূত্রে খবর, এই ইকবালই তিন জন দুষ্কৃতীকে বিহার থেকে নিয়ে আসে৷
আরও পড়ুন: ব্ল্যাকমেল করে টাকা চাইতেন মহিলা! নাম লিখে আত্মঘাতী উত্তর ব্যারাকপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান?
advertisement
পুলিশ সূত্রে খবর, গতকাল রাতে ঘটনার পর গুলজার ওরফে ইকবাল প্রথমে ই এম বাইপাস সংলগ্ন এলাকায় লুকিয়ে ছিল৷ এর পর নিজের মোটরসাইকেলে করেই হাওড়া হয়ে বর্ধমানের দিকে এগোতে থাকে৷ ইকবালের গতিবিধি সম্পর্কে আগে থেকেই পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশকে সতর্ক করে রেখেছিল কলকাতা পুলিশ৷ এ দিন দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের উপর গলসি থানার নাকা তল্লাশি চলাকালীন ধরা পড়ে যায় ইকবাল৷ ধৃত ইকবাল কলকাতারই বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে খবর৷
এই নিয়ে কসবা কাণ্ডে মোট তিনজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ৷ তাদের মধ্যে এক ট্যাক্সি চালকও রয়েছে৷ সূত্রের খবর, যুবরাজ সিং নামে ধৃত দুষ্কৃতী যুবরাজ সিং জেরায় দাবি করেছে, তাকে শুধু সুশান্ত ঘোষকে ভয় দেখাতে বলা হয়েছিল৷ পরে গাড়িতে করে এসে তৃণমূল কাউন্সিলরের উপরে হামলার ছক ছিল বলেও দাবি করেছে ওই ধৃত দুষ্কৃতী৷
কেন সুশান্ত ঘোষের উপরে হামলার এই ছক কষা হল, মাস্টারমাইন্ড ইকবালের গ্রেফতারির পর সেই রহস্য উন্মোচন হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে৷
