এ দিন সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে উপাধ্যক্ষের ইচ্ছাপ্রকাশ নিয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টার বৈঠক হয়। এই বৈঠকে উপস্থিত সদস্যরা জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে উপাধ্যক্ষ যদি পথ থেকে ছেড়ে চলে যায় তাহলে বেতন-সহ কলেজের পরিচালনা ক্ষেত্রে অচলাবস্থা তৈরি হবে। বৈঠকের পর পরিচলন সভাপতি সঙ্গে বেরিয়ে নয়না বললেন, “যতদিন না পর্যন্ত নতুন প্রিন্সিপাল আসছে ততদিন পর্যন্ত আমাকে থাকতে বলা হয়েছে উপাধ্যক্ষ পদে। আমি এখন এই পদে থাকব। এখন যদি আমি ছেড়ে দিই তাহলে বেতন-সহ কলেজে অচলাবস্থা তৈরি হবে।”
advertisement
মঙ্গলবার বিকেলে কসবা আইন কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি, বিধায়ক অশোক দেবের বাড়ি গিয়ে ইস্তফা জমা দিয়েছেন তিনি। নয়না ওই চিঠিতে জানিয়েছিলেন ১ অক্টোবর থেকে তাঁকে যেন উপাধ্যক্ষ পদে না রাখা হয়। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতেই তড়িঘড়ি এই বৈঠক ডাকা হয় বৃহস্পতিবার। এ প্রসঙ্গে, অশোক দেব বলেন, “উনি পদত্যাগের ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন। আমরা বলেছি, এখন নয়। আদালতে মামলা সহ বেশ কিছু তদন্ত চলছে, তাঁর জন্য থাকতে বলেছি। শারীরিক ও মানসিক চাপের কারণে তিনি সরে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন।”
উচ্চ শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, কলেজ সার্ভিস কমিশন ইতিমধ্যেই অধ্যক্ষ নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছেন। খুব দ্রুত এই কলেজেও নতুন প্রিন্সিপাল দেওয়া হবে। গত জুনে প্রকাশ্যে আসে কসবা ল কলেজের ভিতরে প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনা। তারপর প্রায় তিন মাস হতে চলল এখনও পর্যন্ত কলেজে ওই ছাত্র নেতার নাম করে লেখা নানা পোস্টার ও দেওয়াল লিখন মুছতে পারল না কর্তৃপক্ষ।
এ প্রসঙ্গে অশোক বলেন, “পুজোর ছুটিতে উপাধ্যক্ষ কথা বলে এই কাজগুলি করাবেন বলে সমস্ত কিছু ঠিক হয়ে গিয়েছে।” কিন্তু প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে কোন অদৃশ্য ক্ষমতা বলে ধর্ষণকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত তাঁর নাম দেওয়াল থেকে ঢাকতে গড়িমসি করছে। কর্তৃপক্ষের জবাব পুলিশি তদন্তের জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিতে সময় লাগছে।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়