ছাত্র সংসদের তরফে জানানো হয়েছে, কলেজের প্রাক্তনীদের সঙ্গে সুস্থ এবং গঠনমূলক সম্পর্ক বজায় রাখলেও সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এই ‘৫ বছরের কুলিং পিরিয়ড’ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই সময়কালে প্রাক্তনরা কোনওরকম আমন্ত্রণ, বক্তৃতা কিংবা ইউনিয়নের ব্যানারে আয়োজিত কর্মসূচিতে যুক্ত হতে পারবেন না।
মাছ নয় ‘মহৌষধ’! বাজারে থরে থরে সাজানো… খেলেই কমে সুগার, কোলেস্টেরল, হৃদরোগের ঝুঁকি নেই!
advertisement
সাপের শত্রু ঘরের এই ৪ জিনিস! দরজায় ছুঁড়ে দিলেই কাছে আসবে না সাপ! বর্ষায় নো টেনশন!
তবে এই নীতির কিছু ব্যতিক্রম রাখা হয়েছে। যদি কোনও প্রাক্তন ছাত্র বা ছাত্রী, পাশ করার পাঁচ বছরের মধ্যে পূর্ণকালীন সহকারী অধ্যাপক (UGC স্বীকৃত) হিসাবে নিযুক্ত হন, অথবা UPSC/PSC পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে প্রশাসনিক পদে পৌঁছান, কিংবা ১০ বছরের পুরনো কোনও ল ফার্ম বা LPO-র অংশীদার হন, এবং তাঁর কৃতিত্ব বর্তমান ছাত্রছাত্রীদের কাছে অনুপ্রেরণার বিষয় হয়—তবে তাঁকে ছাড় দেওয়া হবে।
অন্যদিকে সরস্বতী পুজো বা বিশেষ কিছু খেলা যেমন প্রাক্তন বনাম বর্তমান ক্রিকেট বা ফুটবল ম্যাচের মতো আলাদা কিছু অনুষ্ঠানে এই ‘কুলিং পিরিয়ড’ প্রযোজ্য হবে না।
ছাত্র সংসদ স্পষ্ট জানিয়েছে, কলেজের বর্তমান ছাত্রদের স্বার্থে এবং ছাত্র রাজনীতিতে প্রাক্তনদের অতিরিক্ত হস্তক্ষেপ রুখতেই এই পদক্ষেপ। ডঃ বিধান চন্দ্র রায়ের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে এই নীতিকে কার্যকর করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
প্রসঙ্গত সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র প্রাক্তনী হয়ে যাওয়ার পরেও কলেজে ব্যাপকভাবে প্রভাবশালী হিসেবেই পরিচিত ছিল। কলেজে অস্থায়ী চাকরি ছাড়াও ছাত্র ইউনিয়ন সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে তার প্রভাবশালী হওয়ার প্রমাণ মিলেছে। সেই ধরনের ঘটনা এড়াতেই দক্ষিণ কলকাতার আরো একটি ল কলেজে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল বলে মনে করছেন অনেকেই।