প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে সরস্বতী দক্ষিণ কলকাতার কসবায় একটি আবাসনে মা মাসী এবং দিদিমার সঙ্গে থাকতেন। আয়ার কাজ করতেন তার মা এবং মাসী দুজনেই। শনিবার তাদের দুজনেরই নাইট ডিউটি ছিল। বাড়িতে দিদিমার সঙ্গেই ছিলেন সরস্বতী। রাতে খাওয়াদাওয়া করে শুয়ে পড়েন দুজনেই। অন্যান্য রাতের মতোই শুয়ে কারও সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলেন সরস্বতী। সম্ভবত একটু উত্তেজিত হয়ে কথাও বলছিলেন, দাবি তার দিদার। তবে মাঝেমধ্যেই এরকম হয় বলে অন্যান্য দিনের মতই স্বাভাবিক ভেবে ঘুমিয়ে পড়েন তার বৃদ্ধা দিদিমা।
advertisement
রাতে ঘুম ভাঙলে তাকে পাশে না দেখতে পেয়ে পাশের ঘরে গিয়ে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান সরস্বতীর দিদিমা। ফাঁস কেটে কোনোরকমে তাকে নামাতে পারলেও, বাকিরা যখন আসেন, ততক্ষণে নিথর হয়ে গিয়েছে সরস্বতীর দেহ।
আরও পড়ুন: কসবায় তরুণীর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে উঠছে প্রশ্ন! অবসাদ কি গ্রাস করছে শহরের তরুণীদের?
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কসবা থানার পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ দায়ের করে। তবে পরিবারের তরফে কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। রবিবারই তার দেহ ময়নাতদন্ত করা হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে গোটা বিষয় জানতে পারবে পুলিশ। মৃতা তরুণীর মাসীর দাবি, সম্ভবত কোনো একটি ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তাদের মেয়ের, অথবা কেউ তাকে উত্যক্ত করছিল। কিন্তু কী এমন ঘটল, যার জেরে এই চরম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হল সরস্বতী বুঝতে পারছেন না তারা।
আরও পড়ুন: বিদিশা-মঞ্জুষার পর সরস্বতী? ফের যুবতীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার শহরে! মৃত্যু ঘিরে বাড়ছে রহস্য
সেজেগুজে ছবি তুলতে ভালোবাসতো সরস্বতী, হাসিখুশী থাকতো সবসময়, সেই মেয়ে কী ভাবে এই ঘটনা ঘটাল, ভাবতে পারছেন না তার মা। ঘরে পড়ে থাকা খাতার পাতায় পাতায় তার আঁকা মেহেন্দির ডিজাইন, সেই খাতার শেষ পাতাতেই নিজের মাকে সারা জীবন অনুপ্রেরণা দিয়ে যাওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে গিয়েছেন সরস্বতী। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ না করলেও পুলিশি তদন্তের রিপোর্টের দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন পরিবারের সবাই।
সাহ্নিক ঘোষ