রাজপুরের নন্দন মিলন বিথির মাঠে দীর্ঘদিন ধরে ক্রিকেট কোচিং ক্যাম্প চালিয়ে আসছেন অজয় ঘোষ। তিনি নিজেও কলকাতা ময়দানের ক্লাব ক্রিকেট খেলেছেন। মধ্য চল্লিশের অজয় বাবুর কাছে মার্চ মাসে একজন পরিচিতের মাধ্যমে হাজির হন দেবাঞ্জন দেব। পরিচয় দেন, তিনি এক জন আইএএস অফিসার। অন্যান্য জায়গার মতো এখানেও তিনি বলেন কলকাতা পুরসভার গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। পুরসভার ক্রিকেট টিমের জন্য তাঁরা কয়েক জন প্র্যাকটিস করতে চান। অজয় বাবু বলেন, 'নীল বাতি গাড়ি সশস্ত্র দেহরক্ষী দেখে কোনও ভাবেই মনে হয়নি আসলে উনি কে।'
advertisement
মার্চ মাসের মাঝামাঝি কয়েক জনকে নিয়ে দেবাঞ্জন নিয়মিত প্র্যাকটিস করতে শুরু করেন অজয় বাবুর কোচিংয়ে। দিন কয়েক অনুশীলনের পর টাকা খরচ করে মাঠ ভাড়া নিয়ে ম্যাচের আয়োজন করেন ভুয়ো আইএএস। অজয় বাবু বলেন, ওইদিন খেলার শুরুতেই আম্পায়ার দেবাঞ্জনকে আউট করে দিলে ব্যাট হাতে আম্পায়ারকে তাড়া করেছিল সে। তার মেজাজে তটস্থ হয়ে থাকতো কোচিং ক্যাম্পের বাকিরা।
এখানেও নাকি প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দিয়েছিলেন দেবাঞ্জন দেব। ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল বা সিএবি-র চিঠি নিয়ে এসে দেখিয়েছিলেন অজয়বাবুকে। সেই চিঠির সারমর্ম ছিল, কলকাতা পুরসভাকে ক্লাব খেলার অনুমতি দিয়েছে সিএবি। অজয় বাবুকে কোচ হিসেবে পুরসভার টিমের দায়িত্ব নেওয়ার অনুরোধ করেন দেবাঞ্জন। পাশাপাশি নন্দন মিলন বিথিতে অনুশীলন করে এরকম চার জনকে পুরসভায় চাকরির প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
সেই মতো চারজনের কাছ থেকে আবেদনপত্র সহ সব রকম কাগজপত্র চেয়ে নেন তিনি। এপ্রিল মাসের ১৫ তারিখ ওই চার জনকে পুরসভায় কাজে যোগ দিতে হবে বলে তিনি জানান। কিন্তু পরে বিধানসভা নির্বাচনের জন্য কিছু দিন অপেক্ষা করতে বলেন। তারপর লক ডাউন শুরু হয়ে যাওয়ায় আরও কিছু দিন সময় নিয়েছিলেন দেবাঞ্জন। কিন্তু এখন সবকিছু জানার পর আকাশ থেকে পড়েছেন অজয় বাবু-সহ তাঁর সমস্ত ছাত্রেরা।
Soujan Mondal
