এছাড়াও, এই মামলার আরেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, নিরাপত্তারক্ষী পিনাকীকেও আদালতে পেশ করা হয়। পিনাকীর জন্য আদালত তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে, অর্থাৎ ৪ জুলাই পর্যন্ত তাকে হেফাজতে রেখে জেরা করতে পারবে পুলিশ।
মাছ নয় ‘মহৌষধ’! বাজারে থরে থরে সাজানো… খেলেই কমে সুগার, কোলেস্টেরল, হৃদরোগের ঝুঁকি নেই!
সবে উড়তে যাবে বেঙ্গালুরুগামী বিমান, ছড়িয়ে পড়ল এমন এক তীব্র গন্ধ…! সিট ছেড়ে উঠে পড়লেন সবাই
advertisement
তদন্তে উঠে আসা একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মোড়, বিশেষত কলেজ ক্যাম্পাসে থাকা সিসিটিভি ফুটেজ, অভিযুক্তদের মোবাইল ডেটা এবং নির্যাতিতার ফরেন্সিক রিপোর্ট ঘিরে এবার জোরালোভাবে তল্লাশি চালাতে চাইছে তদন্তকারী দল। পুলিশ সূত্রে খবর, মনোজিতের মোবাইলে থাকা কিছু ফুটেজ এবং কথোপকথন থেকে তদন্তের গতিপথ ঘুরে যেতে পারে।
সোমবার আদালতের বাইরে দাঁড়িয়ে পুলিশ আধিকারিকরা জানান, “ঘটনার প্রতিটি দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যে সমস্ত প্রমাণ উঠে এসেছে, সেগুলির নিরিখেই তাঁদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন ছিল।”
পাশাপাশি, নির্যাতিতার পক্ষের আইনজীবী দাবি করেছেন, “এই মামলা কোনও সাধারণ ঘটনা নয়। এর পেছনে সুপরিকল্পিত চক্রান্ত রয়েছে। সঠিক তদন্ত হলে প্রকৃত সত্য উঠে আসবে।”
কসবা কাণ্ডে একদিকে যেমন প্রশ্নের পর প্রশ্ন তুলছে অভিযুক্তের পক্ষ, তেমনই কলকাতা পুলিশও তথ্যপ্রমাণ জোগাড়ে তৎপর হয়েছে।
এদিকে কলকাতা পুলিশের তরফে তদন্তে নতুন গতি এনেছে একাধিক প্রযুক্তিগত দিক। মনোজিতের ফোনে কলেজের সিসিটিভি ফুটেজ অ্যাক্সেস ছিল বলেই জানা গেছে। পুলিশ সিসিটিভি সংরক্ষণকারী এজেন্সিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এবং ফরেনসিক ল্যাব (FSL)-এর মাধ্যমেও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তদন্তকারীদের নজরে এখন কসবার তিন অভিযুক্তের ফোন কল ডিটেলস। সার্ভিস প্রোভাইডারের কাছে ইতিমধ্যেই এই তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতারের সময় বাজেয়াপ্ত হওয়া ফোনগুলোর কল হিস্ট্রি খতিয়ে দেখেই বোঝা যাবে, কে কখন, কাকে ফোন করেছিল এবং তার সঙ্গে ঘটনার যোগসূত্র রয়েছে কি না।
সব মিলিয়ে, কসবা কাণ্ডে একদিকে যেমন প্রশ্নের পর প্রশ্ন তুলছে অভিযুক্তের পক্ষ, তেমনই কলকাতা পুলিশও তথ্যপ্রমাণ জোগাড়ে তৎপর হয়েছে।