বুধবার বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী তাঁর মৌখিক পর্যবেক্ষণে জানান, যেহেতু সিবিআই এই মুহূর্তে আর্থিক দুর্নীতির দিকটি খতিয়ে দেখছে, তাই এই মুহূর্তে জামিন দেওয়া সম্ভব নয়। তাই আবেদন প্রত্যাহার না করলে তা খারিজ করা হবে। সেই মোতাবেক বৃহস্পতিবার জামিনের আবেদন প্রত্যাহার করলেন কল্যাণময়। বুধবারই সিবিআই-কে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর পরামর্শ ছিল, নিয়োগ দুর্নীতিতে আর্থিক লেনদেন খুঁজে দেখুন। অযোগ্যদের চাকরি নিশ্চয় ভালবাসার বশবর্তী হয়ে দেওয়া হয়নি।''
advertisement
আরও পড়ুন: বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে পাথর মেরেছিল কারা? প্রকাশ্যে সিসিটিভি ফুটেজ! তুমুল চাঞ্চল্য
তদন্তকারী সংস্থার উদ্দেশ্যে বিচারপতির মন্তব্য ছিল, ''কতদিন জেলবন্দী করে রাখতে পারবেন? গোটা বিচারপ্রক্রিয়া ঠিক সময়ের মধ্যে শেষ করতে পারবেন? তদন্ত শেষ করুন।'' কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের আইনজীবী শেখর বসুর পাল্টা যুক্তি ছিল, ১১৩ দিন জেলে আছেন কল্যাণময়। চার্জশিট দাখিল হয়ে গেছে। অবৈধ নিয়োগ দিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। জামিন দেওয়া হোক। অপরদিকে, সিবিআইয়ের আইনজীবী অরুণ মাইতির পাল্টা সওয়াল ছিল, আদালতের নির্দেশে তদন্ত করছি। অনুসন্ধানের সময় বেনিয়ম পেয়েছি বলে গ্রেফতার করা হয়েছে। শান্তিপ্রসাদ সিনহার সঙ্গে চক্রান্তে যুক্ত ছিলেন কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। শান্তি প্রসাদ সিনহার কাছ থেকে সুপারিশ পত্র নিয়ে নিজেই সরাসরি নিয়োগপত্র দিতেন। প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে নিয়োগপত্র দেওয়া হত।
আরও পড়ুন: আবাসে 'ঘুঘু' দেখতে বাংলায় কেন্দ্রীয় দল, সুকান্ত মজুমদারের ট্যুইটে বড় ইঙ্গিত! ব্যাপক আলোড়ন
এরপরই বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী মন্তব্য ছিল, ''আমরা এই দুর্নীতির কার্যপ্রণালী এবং এই দুর্নীতিতে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের ভূমিকা জানতে চাই। কোনও আর্থিক লেনদেন হয়েছে? কতজনকে চাকরি দেওয়া হয়েছে? চাকরি নিশ্চয়ই ভালবাসার কারণে দেওয়া হয়নি? টাকার লেনদেন আছে কিনা খুঁজে দেখুক সিবিআই। কতদিন জেলবন্দী করে রাখতে পারবেন? গোটা বিচারপ্রক্রিয়া ঠিক সময়ের মধ্যে শেষ করতে পারবেন? তদন্ত চালিয়ে নিয়ে যান।''