কিন্তু হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়েও হেরে যান বাপ্পি লাহিড়ি। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে হেরে যান তিনি৷ এদিন বাপ্পি লাহিড়ির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন তাঁর সেই প্রতিদ্বন্দ্বী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ''বাপ্পি লাহিড়ি এক জন বিখ্যাত গায়ক এবং সুরকার। আমি চিরকালই ওঁকে শ্রদ্ধা করতাম, ভালবাসতাম। ঘটনাচক্রে উনি ২০১৪ সালে আমার বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন, সেটা অন্য কথা। কিন্তু এর বাইরে ওঁর বিপুল জনপ্রিয়তা ছিল। উনি দেশের রত্ন হিসাবে গোটা বিশ্বের কাছে পরিচিত ছিলেন।''
advertisement
আরও পড়ুন: অপেক্ষা করছে কড়া শাস্তি, ফিরহাদের হুঁশিয়ারিতে তৃণমূলের অন্দরে বিরাট ঝড়
তবে বাপ্পি লাহিড়ির বিরুদ্ধে টিম কল্যাণের স্লোগান ছিল 'বাপি বাড়ি যা'র অনুকরণে 'বাপ্পি বাড়ি যা'। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনোনয়নের দিন থেকে যার শুরু হয়েছিল। এদিন অবশ্য শ্রীরামপুরের সাংসদ বারবার আক্ষেপ করেছেন ভোটের পরে আড্ডাটা আর হয়নি বলে। বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি তখন রাজনাথ সিং। তাঁর উপস্থিতিতে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন বাপ্পি লাহিড়ি ৷
আরও পড়ুন: 'এখন অন্য হাওয়া', এসেছিল বার্তা, কেন বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন বাপ্পি লাহিড়ি?
সে সময় নরেন্দ্র মোদি ও রাজনাথকে নিয়ে গান গেয়েও শুনিয়েছিলেন সকলের প্রিয় 'বাপ্পি দা'। ২০০৪ সালে তিনি কিন্তু কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন৷ সেই সময় স্ত্রী, পুত্র-কন্যাকে নিয়ে দিল্লির ২৪ আকবর রোডে কংগ্রেস সদর দফতরে গিয়ে সনিয়া গান্ধির দলে নাম লিখিয়েছিলেন তিনি৷ কংগ্রেস থেকে বিজেপি-তে আসার কারণ জানিয়ে বাপ্পি লাহিড়ি বলেছিলেন, ‘এখন অন্য হাওয়া৷ আর আমি দেশের সেবা করতেই বিজেপি-তে এসেছি৷’ সেই সূত্রে ভোটেও দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু জিততে পারেননি। তবে, মন জয় করে নিয়েছিলেন শ্রীরামপুরবাসীর।