এরই মধ্যে BJP-র জাতীয় কর্মসমিতিতে আমন্ত্রিত সদস্য হিসেবে ঠাঁই পেয়েছেন তৃণমূলে ফিরে আসার জল্পনায় থাকা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee)। স্বাভাবিক কারণেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, কোন অঙ্কে রাজীব বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতিতে এলেন? আবার কি ভুল অঙ্ক কষার মাশুল গুনতে হবে রাজ্য বিজেপিকে। আবার কি মুখ পুড়বে বিজেপির? ইতিমধ্যেই আশঙ্কা ছড়িয়েছে বিজেপির আন্দরে৷
advertisement
বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতিতে এলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, ভারতী ঘোষরা। তাঁদের জাতীয় কর্মসমিতিতে জায়গা দেওয়া হল সেদিন, যেদিন সব্যসাচী দত্ত বিজেপি ছেড়ে যোগ দিলেন তৃণমূলে। মুকুল রায়, সব্যসাচী দত্তের পর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়দের তৃণমূলে যোগ দেওয়া যখন নাকি শুধু সময়ের অপেক্ষা, তখন দলের ভাঙন ঠেকাতে রাজীবকে জাতীয় পদ দিয়ে কি ধরে রাখার মরিয়া চেষ্টা করল বিজেপি? পদ পেয়েও প্রতিক্রিয়া-হীন রাজীব তাহলে কি বার্তা দিলেন বিজেপিকে?
আরও পড়ুন: ভোটের পর থেকে রাজনীতিতে 'নিখোঁজ', ফের গেরুয়া শিবিরে সক্রিয় হচ্ছেন মিঠুন চক্রবর্তী?
কাটা ঘায়ে নূনের ছিটে দিয়ে মুরলিধর সেন লেনের বিজেপি বলছে, "যখন বিধানসভায় তিন সদস্যের দল ছিল তখন ময়দানে বিজেপি ছিল প্রকৃত বিরোধী আর, যখন বিধানসভায় দলের বিধায়ক সংখ্যা ৭৭, তখন বিজেপি মাঠে-ময়দানে কার্যত 'শূন্য'। রাজনৈতিক দেউলিয়াপনার জন্যই আজ দলের এই অবস্থা।"
বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতিতে বাংলার থেকে আরও যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁরা হলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ, সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী, সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত, অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া দীনেশ ত্রিবেদী। বিশেষ আমন্ত্রিত সদস্য হিসেবে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া অশোক লাহিড়ি, সাংসদ জয়ন্ত রায়, সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, এবং মাফুজা খাতুনের নামও রয়েছে। অপরদিকে, কমিটিতে রয়েছেন লালকৃষ্ণ আডবানী, মুরলীমনোহর যোশীর মতো নেতার নামও।
