মন্ত্রী ক্ষুব্ধ বুঝে তাঁকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্যদের সঙ্গে দেখা করার প্রস্তাব দেওয়া হয় জেলের তরফে। তাতে অনীহা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
পরামর্শ দেওয়া হয়, পাশের সেলে পার্থ চট্টোপাধ্যায় রয়েছেন, আপনি চাইলে দেখা করতে পারেন। কিন্তু পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচাৰ্য সহ বাকি কারও সঙ্গে দেখা করতে নারাজ জোত্যিপ্ৰিয়।
ওয়ায়াকিবহল মহলের মতে, জেলে গিয়েও প্রভাব খাটানোর চেষ্টা জোত্যিপ্ৰিয়র? প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে পহেলা বাইশ ওয়ার্ডের সাত নম্বর সেলে রয়েছেন জোত্যিপ্ৰিয়। দুর্নীতিতে ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ বাকিরাও রয়েছেন পাহেলা বাইশ ওয়ার্ডেই। সেখানে সাত নম্বর সেলে রয়েছেন জোত্যিপ্ৰিয় মল্লিক।
advertisement
আরও পড়ুন: হঠাৎ বদলে গেছে সময়, জেলের প্রথম রাতে কী করলেন জ্যোতিপ্রিয়? সামনে এল চমকে ওঠা খবর
জেল সূত্রে খবর, মোবাইল ফোনের জন্য বারবার আবদার করেন জ্যোতিপ্রিয়। জেল সূত্রে খবর, জেল আধিকারিকদের উপর প্রভাব খাটাতে একাধিকবার রাজ্যের এক প্রভাবশালী মন্ত্রীর নাম নেন। যদিও রেশন দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে ধৃত জোত্যিপ্ৰিয়র কোনও অনুরোধ ধোপে টেকেনি।
আরও পড়ুন: জ্যোতিপ্রিয়র ব্যাঙ্কের লকার খুলতেই থ ইডি! যা ভেবেছিলেন, দেখা গেল সব উল্টো
জেলে গিয়ে আবদারও করেছিলেন জোত্যিপ্ৰিয় মল্লিক। জেল সূত্রে খবর, জেলে জোত্যিপ্ৰিয় মল্লিকের আবদার “আমি রাজ্যের মন্ত্রী, জেল রাজ্যের আওতায়, এই সেলে থাকব না। এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠাও। আমার বাঁদিক প্যারালাইসিস হয়ে গিয়েছে।” জেল হাসপাতালে চিকিৎসার পরে জেল হাসপাতাল জানায়, ”এখন ভর্তির দরকার নেই। আপনার শারীরিক অবস্থা ঠিক আছে।” তাতে ক্ষুব্ধ হন জোত্যিপ্ৰিয়। জেল সূত্রে এমনই খবর।
প্রেসিডেন্সি জেলের ৭ নম্বর সেলে আছেন জোত্যিপ্ৰিয় মল্লিক। এমনকী তিনি প্রথম রাতে জেলে গিয়ে অনশনে বসার হুমকিও দেন। জেল সূত্রে খবর, জেলের প্রথম রাতে সেলের ভিতরে দেওয়ায় পরে বাড়ির খাবার প্রথম রাতে দেওয়া হয় আদালতের নির্দেশে। তখন জোত্যিপ্ৰিয় খেতে চাননি। জেল সূত্রে খবর, প্রায় ৭ ঘন্টা ধরে বুঝিয়ে রাত আড়াইটে নাগাদ খাওয়ানো হয় তাঁকে। এরপরে তাঁকে তাঁর মেডিসিন দেওয়া হয়। যদিও জেলের দ্বিতীয় দিনে আদালতের নির্দেশে তিনি ডায়েট চার্ট মেনে জেলের খাবারই খেয়েছেন বলে সূত্রের খবর।