সূত্রের খবর, জোত্যিপ্ৰিয় মল্লিকের স্ত্রী ও কন্যার নামে দুটি লকারের চাবি বাজেয়াপ্ত করল ইডি।দুটি লকার সল্টলেকে। প্রিয়দর্শিনী মল্লিক ও মণিদীপা মল্লিকের নামে দুটি লকার রয়েছে। দুটি লকারের মধ্যে একটি সরকারি ব্যাঙ্কের এবং অপরটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের লকার।এই দুটি লকারে কত গয়না বা মূল্যবান জিনিস আছে, তার পরিমাণ কত? সেসব খতিয়ে দেখবে ইডি।
advertisement
আরও পড়ুন: পাবদা মাছ ভালোবাসেন? খেলে শরীরে কী হয় জানেন তো…? আরেকবার খাওয়ার আগে জানুন বিশেষজ্ঞের মত
কোথা থেকে এল বিপুল গয়না? আয়ের উৎস কি? তদন্তে ইডি। ইডি সূত্রে খবর, বিপুল পরিমান নামে বেনামে সম্পত্তি রয়েছে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জোত্যিপ্ৰিয় মল্লিকের। বাকিবুরের ২০ কোটি ২৪ লক্ষ ১৬,১৯৪ টাকা জোত্যিপ্ৰিয় মল্লিকের তিনটি শেল কোম্পানির মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করে আরও দুটি বাঁকুড়ার কোম্পানিতে বা ফার্মে যায়।এই দুটি কোম্পানি পার্টনারশিপে ছিল সিপি জেনা। এছাড়া জোত্যিপ্ৰিয়র CA শান্তনু ভট্টাচাৰ্যও কোম্পানির বিষয়টি দেখতেন।
আরও পড়ুন: নভেম্বরে ‘এতগুলো’ দিন স্কুল-কলেজ বন্ধ…? কবে কবে ছুটি? দেখুন তারিখ-সহ পূর্ণাঙ্গ তালিকা
বাঁশদ্রোণী ও রানীকুঠিতে এই দুজনের বাড়িতে সাম্প্রতি ইডি অভিযান চালায়। এই দুই কোম্পানিতে ডামি পার্টনার ছিল। বাস্তবে এই দুই ফার্মে কোনও ব্যবসা আদতে করা হত না। ইডি সূত্রে খবর, জোত্যিপ্ৰিয় মল্লিকের স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে ৬.০৩ কোটি টাকা এবং মেয়ের অ্যাকাউন্টে ৩.৭৯ কোটি টাকা ঢুকেছিল। ২০১৬ সালে স্ত্রী অ্যাকাউন্টে ও ২০১৭ সালে মেয়ের অ্যাকাউন্টে ঢোকে ওই বিপুল টাকা।
বিপুল পরিমান টাকার উৎস কি? অর্থাৎ রেশন দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করার জন্য আদতে এই কোম্পানিগুলি খোলা হয়েছিল।জ্যোতিপ্রিয় তিনটি শেল কোম্পানির মাধ্যমে বাকিবুরের বারো কোটি টাকা আর্থিক তছরুপ হয়েছিল, অভিযোগ ইডির। কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি, গয়না, কোম্পানি কোথা থেকে এল? আয়ের উৎস কী? উত্তর খুঁজছে গোয়েন্দারা।
অর্পিতা হাজরা