বিচারকের প্রশ্নের উত্তরেই জ্যোতিপ্রিয় কাতর গলায় বলেন, ‘‘আমার ৩৫০ সুগার আছে। হাত পা নাড়াতে পারছি না। আমাকে বাঁচতে দিন।’’ বিচারক অবশ্য সব শুনে বলেন, ওঁর যদি শুনানি চলাকালীন বসে থাকতে অসুবিধা হয়, তাহলে ওঁকে সেল-এ নিয়ে যেতে পারেন৷ যদিও, জ্যোতিপ্রিয় রাজি হননি তাতে৷
আরও পড়ুন: একটা বিষধর সাপ অন্য বিষধর সাপকে কামড়ালে সব সময় কিন্তু সে মরে যায় না, কী হয় জানেন?
advertisement
শুনানি চলাকালীন, ধৃত মন্ত্রীর শারীরিক অবস্থার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন তাঁর আইনজীবীও৷ দাবি করেন, গত কয়েকদিনে তাঁর মক্কেলের শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে ৷ তাঁকে তড়িঘড়ি কোনও সরকারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা করানো প্রয়োজন৷ এমনকী, এ বিষয়ে জেল কর্তৃপক্ষের মেডিক্যাল রিপোর্টও আদালতকে দেখার আর্জি জানানো হয়৷
এদিকে, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে ১৪ দিন জেলে গিয়ে জেরা করার আবেদন জানানো হয় ইডির তরফে৷ একই সঙ্গে জেরা ও বয়ান রেকর্ড করার জন্য ডিজিটাল সামগ্রী ব্যবহারেরও অনুমতি চাওয়া হয় আদালতের কাছে৷ জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আইনজীবী পাল্টা বলেন, ‘‘জামিনের আবেদন করছি না। মেডিক্যাল গ্রাউন্ড থেকে পিটিশন। কম্যান্ড হাসপাতাল বলছে তিনি স্টেবল। আমরা আবেদন করছি, মন্ত্রীর এই মুহূর্তের শরীরের অবস্থা কেমন সেই বিষয়ে জেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে মেডিক্যাল রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হোক।’’
এর পরেই জ্যোতিপ্রিয়র আইনজীবী জানান, বর্তমানে ক্রনিক কিডনি ডিজিজের তৃতীয় স্টেজে রয়েছেন জ্যোতিপ্রিয়৷ বলেন, ‘‘কিডনির সমস্যা ওঁর 3 rd স্টেজে। আমরা আবেদন করছি, মন্ত্রীর জন্য অন্তত জেলের মধ্যে যদি একটা খাট এবং টেবিলের ব্যবস্থা যদি করা যায়।’’
আরও পড়ুন: বদমেজাজি নানা পাটেকর! ফ্যানকে সপাটে চড়, কেন? ভাইরাল ভিডিওর আসল সত্যিটা কী জানুন
এর উত্তরে অবশ্য বিচারক জানান, এ বিষয়ে আদালত কিছু বলতে পারে না। ইডির আইনজীবী অবশ্য আদালতে দাবি করেন, জেল কর্তৃপক্ষের তরফে যে রিপোর্ট এসেছে, তাতে অসুস্থতার কথা বলা থাকলেও অর্থাৎ, জ্যোতিপ্রিয় ফিট নন সেটা জানানো হলেও, তাঁকে কোনও হাসপাতালে স্থানান্তর করার কথা বলা নেই।
শুনানি শেষে জোত্যিপ্ৰিয় মল্লিকের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় ইডি-র বিশেষ আদালতের।
ARPITA HAZRA