এ দিন নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলাকালীনই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ভূমিকা নিয়ে ফের অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়৷ তিনি বলেন, 'পর্ষদ বন্ধুর মতো আচরণ করছে না। আমি আমার আগের মন্তব্য প্রত্যাহার করছি, যেখানে বলেছি নিয়োগে বাধা দেব না। এখন যদি দেখি আইন মানা হচ্ছে না, পরীক্ষা বন্ধ করে দেব। বোর্ডকে হুঁশিয়ারি বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলির।'
advertisement
২০১৭ সালের টেট-এ যাঁরা ৮২ পেয়েছিলেন (রিজার্ভ ক্যাটেগরির), পর্ষদের পক্ষ থেকে তাঁদের টেট উত্তীর্ণ বলে গণ্য করা হলেও, ২০১৪ নিয়ে এখনও কেন চুপ প্রাথমিক পর্ষদ? এই প্রশ্ন তুলে আদালতে আবেদন করেন ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা।
আরও পড়ুন: এক্সাইড, ক্যামাকস্ট্রিটের পরে এবার শিয়ালদহ! চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভে দিনভর উত্তপ্ত কলকাতা
গত ৩ নভেম্বর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, ২০১৪ এবং ২০১৭ র টেটে সংরক্ষিত বিভাগের যে প্রার্থীরা ৮২ পেয়েছেন তাদের টেট উত্তীর্ণ হিসাবে গণ্য করতে হবে এবং ২০২২- এর প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহনের সুযোগ দিতে হবে। এর ফলে পর্ষদ দ্বারা ঘোষিত লক্ষাধিক "টেট অনুত্তীর্ণ" প্রার্থী ২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ গ্রহন করতে পারবেন।
এর ফলে পর্ষদ দ্বারা ঘোষিত লক্ষাধিক "টেট অনুত্তীর্ণ" প্রার্থী ২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ গ্রহন করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: চাকরিপ্রার্থীর হাতে কামড়ে দিল পুলিশ! টেট বিক্ষোভে মারাত্মক অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে
চাকরিপ্রার্থীদের বক্তব্য, ২০১৪ নিয়ে এখনও পর্ষদ কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি। সেই কারণেই ফের আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তারা। মামলাকারীদের দাবি, ২০১৪ এবং ২০১৭ এর টেটে সংরক্ষিত বিভাগের বহু প্রার্থী ১৫০-এর মধ্যে ৮২ নম্বর পেয়েছে। ফলে এরা গড়ে ৫৪.৬৭ শতাংশ নম্বর পেয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, ৫৪.৬৭ কে ৫৫ নম্বর হিসাবে গণ্য করতে হবে। ৫৫ পেলেই এরা টেট উত্তীর্ণ হিসাবে মান্যতা পাবেন।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী অবশ্য জানিয়েছেন, আগামী শুক্রবারের মধ্যে ২০১৪-র সংরক্ষিত বিভাগের ৮২ নম্বর পাওয়া প্রার্থীদের টেট উত্তীর্ণ বলে ঘোষণা করা হবে। প্রকাশ করা হবে তালিকাও। এই শুনানি চলাকালীনই আজ পর্ষদের উদ্দেশে কড়া মন্তব্য করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷