এলাকার পরিস্থিতি এখন কেমন রয়েছে তা দেখতে সোমবার সেখানে গিয়েছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা। এলাকার সমীক্ষা করে রিপোর্ট দেবেন তাঁরা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সয়েল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক রামেন্দু বিকাশ সাহু বলেন, "আমরা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে এসেছি। কলকাতা পুরসভা এই জায়গা সম্পর্কে আরও বিশদে পরীক্ষা করতে চাইছে। আমরা প্রথম দিন এসে পজিসন বোঝার চেষ্টা করেছি। এরপর আরও কয়েকবার আসতে হতে পারে প্রয়োজনে। তখন পরীক্ষা নিরীক্ষা করব এবং পুরসভার কাছে টেকনিক্যাল রিপোর্ট জমা দেব। একটা বাড়ি কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেটাকে সারালে চলবে? নাকি সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলতে হবে। সেটা এখন বলা সম্ভব নয়। পরীক্ষার রিপোর্ট এলে জানান হবে। এর মধ্যে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের মধ্যে সয়েল এবং স্ট্রাকচারের বিষয় রয়েছে। আর্কিটেকচারের বিষয় রয়েছে। যদি আমরা বলি সব ভেঙে ফেলব তাহলে কী হবে? তাহলে তো সলিউশন দিতে হবে। কেউ বাড়ির কম্পন নিয়ে কাজ করলে তাঁর কথাও শুনতে হবে।'
advertisement
আরও পড়ুন: আকাশছোঁয়া আলুর দাম! কেন হু হু করে বাড়ছে দাম? আর কত বাড়তে পারে?
তাঁরা আরও বলেন, "প্রাথমিক রিপোর্ট এই সপ্তাহের শেষেই জমা পড়ার কথা। এরপরের রিপোর্টটা জটিল। জটিল জিনিসের উত্তরটা জটিল হয়। পরের রিপোর্টটা সময় সাপেক্ষ। আপাতত যেগুলো রিপোর্ট হয়েছে। কেএমআরসিএল যেগুলো দেখিয়েছেন। ওনাদের কাছে যথেষ্ট কাগজ আছে। সেগুলো আমরা ইন্ডিপেন্ডেন্ট ওপিনিয়ন নেব। আমি কেএমআরসিএল-এর ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে একমত। মাটির তলায় ৬০ ফুট নিচে কাজ করার সময় একটা জিনিস ফেল করেছে। জলের প্রেসার। কল্পনা করুন একটা ছ'তলা বাড়ির ওপরে যতখানি জল আছে। যা হাতে ধরে রাখা যাবে না। ছ'তলা বাড়ির জলের ওজনের সমান। কয়েক টন, সেই প্রেসার রাখা যায়নি। তারা ফাটিয়ে বের করে দিয়েছে। একটা চাদরের মতো। তারপরে যা যা করার দরকার ছিল ওনারা করেছেন। যাতে বাড়ি আর না হেলে, তার জন্য জথাসম্ভব চেষ্টা চলছে। কোন বাড়িটায় কী সাহায্য করতে হবে, যে বাড়িগুলো রাখা যাবে না সেগুলো কী করতে হবে, রাখা যাবে না ভেঙে ফেলা হবে সবই ক্রমান্বয়ে হবে।"
UJJAL ROY