চলতি বছরের জুলাই মাসেই উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোর নোয়াপাড়া কারশেড থেকে একটি নন এসি রেক নিয়ে আসা হয়। ট্রেলারের মাধ্যমে সড়কপথে আলাদা আলাদা করে সেই নন এসি মেট্রোর আটটি কোচ এনে তা জোকার কারশেডে জুড়ে রেক তৈরি করা হয়েছিল। আপাতত ওই রেক ছুটিয়েই মহড়া দৌড় চলছে। রেক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কারশেডের একটি অংশের কাজ তড়িঘড়ি সম্পূর্ণ করা হয়েছে। যদিও সুবিশাল কারশেড সম্পূর্ণ হতে এখনও অনেক সময় লাগবে। আপাতত জোকা থেকে তারাতলার মধ্যে ছ’টি স্টেশন নিয়ে পরিষেবা শুরু করতেই মহড়া চলছে সপ্তাহের বেশ কয়েকটা দিন। এই ছ’টি স্টেশন হল জোকা, ঠাকুরপুকুর, শখেরবাজার, বেহালা চৌরাস্তা , বেহালা বাজার এবং তারাতলা।
advertisement
গত সেপ্টেম্বর মাসে এই পথে মেট্রোর তৃতীয় লাইনে বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ হয়েছে। তার পরেও গত আড়াই মাস ধরে চলছে একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা। প্রতিদিন সকালে ট্রেন চালানোর আগেও রেকের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ এবং লাইন পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। এখন ট্রেনের গতি খুব কম রেখেই মহড়া দেওয়া হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।জমি-জটের কারণে দীর্ঘ সময় প্রকল্পের কাজ নানা পর্বে ব্যাহত হওয়ায় পরিষেবা কবে থেকে শুরু হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিচ্ছিল। ওই মেট্রোপথে এখনও আধুনিক সিগন্যালিং ব্যবস্থা চালু হওয়ার কাজ বাকি। আপাতত সিগন্যাল ব্যবস্থা ছাড়াই একটি রেক ব্যবহার করে ‘ওয়ান ট্রেন সিস্টেম’-এ সেখানে মেট্রো চলবে।
আরও পড়ুন- অনুব্রতকে বীরভূমের ‘বাঘ’ বলেছিলেন ফিরহাদ, মুখ খুলে বড় চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর
এই পদ্ধতিতে প্রান্তিক স্টেশন জোকা থেকে একটি রেক ছেড়ে বিভিন্ন স্টেশন হয়ে তারাতলা পৌঁছবে। তার পরে তারাতলা থেকে ফিরতি পথে জোকা আসবে। ওই রেকের আগে বা পরে কোনও ট্রেন চলবে না। কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি অনুমতি দিলে একই পদ্ধতি মেনে নতুন এসি রেক আনিয়ে যাত্রী পরিষেবা শুরু করা হবে। ডিসেম্বর মাসের শেষে আনুষ্ঠানিক ভাবে সাড়ে ছ’কিলোমিটার মেট্রোপথে যাত্রী পরিষেবা খুলে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে রেল বোর্ড।