ইডি সূত্রে খবর, প্রায় আটটি কোড ব্যবহার করা হয়েছে ওই লিস্টে। যেমন, " MM", "SB", "CH", "BH"৷ এই সবই কোনও না কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির সাংকেতিক ভাষায় লেখা নাম। এর মধ্যে MM এর অধীনেই সবচেয়ে বেশি প্রার্থীর নাম রয়েছে বলে দাবি ইডির। ইডি সূত্রে খবর, কোডের পাশে লেখা ছিল কত জন চাকরি প্রার্থী, তাঁদের নামের রেকমেন্ডেশন, তাঁদের কাছ থেকে কত টাকা নেওয়া হয়েছে এবং কত টাকা বাকি রয়েছে সেই সমস্ত তথ্য৷
advertisement
সূত্রের খবর, অয়নকে জেরা করে জানা গিয়েছে, ৬০টিরও বেশি পুরসভায় প্রায় ৬ হাজার জন বেআইনি পদ্ধতিতে নিয়োগ হয়েছে৷ তারমধ্যে মধ্যে ৮০-৯০% রেকমেন্ডেশন লিস্ট অনুসারেই হয়েছে। বাকি ১০ পার্সেন্ট অয়ন শীল নিজের কোটায় নিয়োগ করেছিলেন।
ইডি সূত্রে খবর, প্রায় তিন থেকে দশ লক্ষ পর্যন্ত রেট ছিল পুরসভায় বিভিন্ন পোস্টে চাকরির জন্য। মজদুর, পিওন, ক্লার্ক, অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সহ একাধিক পদ ছিল। প্রতি পোস্টের জন্য আলাদা আলাদা রেট চার্ট ছিল। যারা নাম রেকমেন্ডেশন করতেন সেই রেট অনুসারে অয়ন শীলও আলাদা করে নিজের কোটায় পুরসভায় বেআইনি ভাবে দশ শতাংশ নিয়োগ করত।
শুধু তাই নয়, এই প্রভাবশালীদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ছিল অয়ন। প্রভাবশালীদের রেকমেন্ডেশন অনুসারে পুরসভায় বেআইনি নিয়োগের ক্ষেত্রে কারও থেকে ৪ লক্ষ টাকা নেওয়া হলে, তার দশ-পনেরো শতাংশ পেতেন অয়ন শীল। বাকি নব্বই-পঁচাশিই শতাংশ পেতেন প্রভাবশালীরা৷ ইডি জেরায় এমনটাই দাবি করেছেন অয়নের।
হুগলির বলাগড়ের বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার এই অয়ন শীলের বাড়ি ও অফিস ঘেঁটে উদ্ধার হয়েছে টেট দুর্নীতি কাণ্ডের একাধিক নথি। অয়নের সল্টলেকের দফতর থেকেই চালানো হত দুর্নীতি চক্র। দাবি ইডির।
ARPITA HAZRA