শনিবার সন্ধেবেলা বেবি আংটি কেনার নাম করে ম কালী জুয়েলার্সে আসেন দুই মহিলা। পরে বেবি আংটি তাদের পছন্দ না হওয়ায় দোকানদারকে বড়দের আংটি দেখানোর জন্য বলেন। দোকানদার আংটি দেখানোর জন্য ভেতরে গেলে নিমেষের মধ্যেই একজন মহিলা জামার ভেতর ঢুকিয়ে ফেলেন একটি আংটি। পরে আরেকজন তাদের সঙ্গে থাকা ব্যাগে অন্য আংটি ঢুকিয়ে নেয়।
advertisement
এখানেই শেষ নয়, এরপরে আংটি তাদের পছন্দ না হওয়ার কারণে দোকানদারকে লকেট দেখাতে বলেন তারা৷ যদিও লকেটও তাদের পছন্দ না হওয়ায় তারা দোকান থেকে উঠে যেতে প্রস্তুত হোন। এমন সময় দুটো আংটি নিজের বাক্স থেকে মিসিং দেখেই সিসিটিভি চেক করেন দোকানের কর্মচারী জয়ন্ত দত্ত। সেই সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় ওই দুই মহিলার মধ্যে একজন আরও একটি লকেট মুখের মধ্যে গলিয়ে নেন। মুহূর্তের মধ্যে হাতে নাতে ধরা পড়ে যায় তারা।
প্রথমে অবশ্য চুরির কথা দুজনেই অস্বীকার করেন। উল্টে গলা উঁচিয়ে কথাও বলেন দোকানদারের সঙ্গে। পরে সিসিটিভি ফুটেজের কথা জানার পর কার্যত ভ্যাবাচাকা খেয়ে যান তারা। পরে দোকানদারের স্ত্রী দোকানে এসে দুই মহিলাকে সার্চ করে তাদের থেকে দুটি আংটি ও একটি লকেট উদ্বার করেন।
পুলিশকে খবর দিলে দুজনকেই গ্রেফতার করে নাগেরবাজার থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে একজনের নাম সোহেলি মাইতি ও আরেক জনের নাম তৃষিতা চক্রবর্তী। তৃষিতা দমদম এলাকার গোড়াবাজারের বাসিন্দা হলেও সোহেলি মেদিনীপুরে বাসিন্দা। এরা দুজনেই আত্মীয় বলেই স্বীকার করেছেন তারা। রবিবার ব্যারাকপুর স্পেশাল কোর্টে তোলা হয় তাদের।