রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য সরকােরর সংঘাত নতুন কিছু নয়৷ এ দিন ভাষণের শুরুতেই রাজ্যপাল অবশ্য দাবি করেন, 'আমি যখন কোনও বিষয়ে সরব হই তা রাজ্যের ভালোর কথা ভেবেই৷' অন্যের মতকেও যে গুরুত্ব দেওয়া উচিত, সেকথা উল্লেখ করে পরোক্ষে তিনি মুখ্যমন্ত্রীকেই বার্তা দিলেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷ একই সঙ্গে উন্নয়নের স্বার্থে রাজনীতির ঊর্ধ্ব উঠে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলারও পরামর্শ শোনা গিয়েছে রাজ্যপালের গলায়৷
advertisement
আরও পড়ুন: ৫ লক্ষ মহিলার হাতে আজ টাকা, শিল্প সম্মেলনের আকর্ষণের কেন্দ্রে লক্ষ্মীর ভান্ডার
এটুকু বাদ দিলে এ দিন আগাগোড়াই দেশ বিদেশের প্রতিনিধিদের সামনে রাজ্য এবং রাজ্য সরকারকে নিয়ে ইতিবাচক বার্তাই দিয়েছেন রাজ্যপাল৷ করোনা অতিমারি পরবর্তী সময়ে সাফল্যের সঙ্গে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মতো আয়োজন করায় মুখ্যনমন্ত্রীর প্রশংসাও করতে শোনা যায় তাঁকে৷ জগদীপ ধনখড় বলেন, 'এই কঠিন সময়ে এত বড় মাপের অনুষ্ঠান কলকাতায় এই প্রথম হচ্ছে৷ তার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাতে হবে৷'
আরও পড়ুন: বিশাল হোর্ডিংয়ে মমতার মুখ, ছবি তুলছেন দিলীপ ঘোষ, সাতসকালে নিউটাউনে হচ্ছেটা কী?
বিনিয়োগকারীদের সামনে মূলত রাজ্যের পর্যটন শিল্পের বিপুল সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন রাজ্যপাল৷ পাশাপাশি, এ রাজ্যে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, কৃষির মতো ক্ষেত্রগুলিতে বিনিয়োগ করলেও তা লাভজনক হবে বলেই মন্তব্য করেন রাজ্যপাল৷ রাজ্যপালের আশা, দেশ বিদেশ থেকে আসা শিল্প বাণিজ্য ক্ষেত্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার ফলে নিশ্চিত ভাবেই অদূর ভবিষ্যতে রাজ্যের জন্য ভাল কিছু হবে৷
তবে এ দিনও বক্তব্য রাখতে গিয়ে বার বারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথা উল্লেখ করেছেন রাজ্যপাল৷ প্রধানমন্ত্রী যে ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পূর্ব ভারতের উন্নয়নে বিশেষ জোর দিয়েছেন, সেকথাও মনে করিয়ে দেন তিনি৷ একই সঙ্গে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করে তাঁকে অভিজ্ঞ এবং পরিণত বলে মন্তব্য করেন রাজ্যপাল৷