তদন্তকারীদের কাছে ডিন অফ স্টুডেন্টস রজত রাই দাবি করেছেন, গত ৯ অগাস্ট ঘটনার দিন রাত ১০টা বেজে ৫ মিনিটে তাঁর কাছে একটি নম্বর থেকে ফোন আসে৷ ফোন করে জানানো হয়, হস্টেলের একটি নবাগত ছাত্রের ‘পলিটিসাইজেশন’ হয়েছে৷ হস্টেল সম্পর্কে ছাত্রটিকে ভয় দেখানো হয়েছে৷ ছাত্রটি অস্বাভাবিক ব্যবহার করছে। এরপরে ১০টা বেজে ৮ মিনিটে সুপারকে ফোন করেন ডিন৷ ফোন নম্বরটি পাঠিয়ে জানতে চান, সেটি কার নম্বর তিনি চেনেন কি না৷ তার পরে হস্টেলে কী হয়েছে, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখতে বলেন৷
advertisement
আরও পড়ুন: উপাচার্য দায়িত্ব নিতেই পদত্যাগ করলেন ডিন অফ সায়েন্স, তদন্ত কমিটির কী হবে, সেটাই জল্পনা
সূত্রের খবর, সেই ফোন নম্বর দেখেই হস্টেল সুপার বুঝতে পারেন নম্বরটি সত্যব্রতর৷ তখনই তিনি আন্দাজ করেন হস্টেলে কিছু একটা হয়েছে৷ দাবি, সত্যব্রতর ভয়েই ওই ব্লকে যাননি হস্টেল সুপার। সত্যব্রত এই দাপট ভাবাচ্ছে পুলিশকে।
তদন্তে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ক্যাম্পাস থেকে হস্টেল, চতুর্থ বর্ষের পড়ুয়া সত্যব্রত রাইয়ের দাপট ছিল সর্বত্র৷ দুর্ব্যবহার, অশ্রাব্য গালিগালাজে হস্টেল সুপার থেকে নিরাপত্তারক্ষী, জুনিয়রদের চাপে রাখত এই সত্যব্রতই৷ তার ভয়ে মুখ খুলত না কেউ৷ গত শুক্রবার তার গ্রেফতারির পরেই একে একে সব বলতে শুরু করেছেন আবাসিকদের একাংশ৷
আরও পড়ুন: ডিন এর ফোন পেয়ে কী করেছিলেন ২ ঘণ্টা? রাত আড়াইটে পর্যন্ত হস্টেল সুপারকে জিজ্ঞাসাবাদ
ছোট থেকেই দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করে পড়াশোনা করেছেন। বর্তমানে সে সত্যব্রত কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র৷ বাড়ি সন্তোষপুরের হরিণঘাটায়৷ সত্যব্রতের বাবা প্রদীপ রাই ফল বিক্রি করেন৷ মা রুমা রাই সেলাইয়ের কাজ করে কোনওরকমে সংসার চালান। পাড়াতেও মেধাবী ছাত্র হিসেবেই পরিচিতি। সেই ছেলে কী ভাবে এই ঘটনায় জড়াল বুঝতে পারছেন না কেউ-ই৷