TRENDING:

Jadavpur University: হস্টেলে ‘আতঙ্কের’ আরেক নাম ছিল সত্যব্রত! ‘ভয়’ পেতেন সুপারও, বাবা ফল বিক্রি করেন, মা সেলাইয়ের কাজ

Last Updated:

সূত্রের খবর, সেই ফোন নম্বর দেখেই হস্টেল সুপার বুঝতে পারেন নম্বরটি সত্যব্রতর৷ তখনই তিনি আন্দাজ করেন হস্টেলে কিছু একটা হয়েছে৷ দাবি, সত্যব্রতর ভয়েই ওই ব্লকে যাননি হস্টেল সুপার। সত্যব্রত এই দাপট ভাবাচ্ছে পুলিশকে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হস্টেলে ত্রাসের আরেক নাম নাকি ছিল ‘সত্যব্রত’৷ যে সত্যব্রত রাইকে গত শুক্রবার ছাত্রমৃত্যু কাণ্ডে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ জানা গিয়েছে, গত ৯ অগাস্ট, ঘটনার রাতে ডিন অফ স্টুডেন্টসকে ফোন করেছিল এই সত্যব্রতই৷ এই ছাত্রেরই ভয়ে নাকি সেই রাতে হস্টেলে যাননি সুপার৷ শুধুমাত্র বিষয়টি জানিয়েছিলেন হস্টেল কমিটিকে৷
advertisement

তদন্তকারীদের কাছে ডিন অফ স্টুডেন্টস রজত রাই দাবি করেছেন, গত ৯ অগাস্ট ঘটনার দিন রাত ১০টা বেজে ৫ মিনিটে তাঁর কাছে একটি নম্বর থেকে ফোন আসে৷ ফোন করে জানানো হয়, হস্টেলের একটি নবাগত ছাত্রের ‘পলিটিসাইজেশন’ হয়েছে৷ হস্টেল সম্পর্কে ছাত্রটিকে ভয় দেখানো হয়েছে৷ ছাত্রটি অস্বাভাবিক ব্যবহার করছে। এরপরে ১০টা বেজে ৮ মিনিটে সুপারকে ফোন করেন ডিন৷ ফোন নম্বরটি পাঠিয়ে জানতে চান, সেটি কার নম্বর তিনি চেনেন কি না৷ তার পরে হস্টেলে কী হয়েছে, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখতে বলেন৷

advertisement

আরও পড়ুন: উপাচার্য দায়িত্ব নিতেই পদত্যাগ করলেন ডিন অফ সায়েন্স, তদন্ত কমিটির কী হবে, সেটাই জল্পনা

সূত্রের খবর, সেই ফোন নম্বর দেখেই হস্টেল সুপার বুঝতে পারেন নম্বরটি সত্যব্রতর৷ তখনই তিনি আন্দাজ করেন হস্টেলে কিছু একটা হয়েছে৷ দাবি, সত্যব্রতর ভয়েই ওই ব্লকে যাননি হস্টেল সুপার। সত্যব্রত এই দাপট ভাবাচ্ছে পুলিশকে।

advertisement

তদন্তে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ক্যাম্পাস থেকে হস্টেল, চতুর্থ বর্ষের পড়ুয়া সত্যব্রত রাইয়ের দাপট ছিল সর্বত্র৷ দুর্ব্যবহার, অশ্রাব্য গালিগালাজে হস্টেল সুপার থেকে নিরাপত্তারক্ষী, জুনিয়রদের চাপে রাখত এই সত্যব্রতই৷ তার ভয়ে মুখ খুলত না কেউ৷ গত শুক্রবার তার গ্রেফতারির পরেই একে একে সব বলতে শুরু করেছেন আবাসিকদের একাংশ৷

আরও পড়ুন: ডিন এর ফোন পেয়ে কী করেছিলেন ২ ঘণ্টা? রাত আড়াইটে পর্যন্ত হস্টেল সুপারকে জিজ্ঞাসাবাদ

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
বাজারে ব্যাপক চাহিদা, তবুও মাথায় হাত! পান চাষ করে কেন সমস্যায় চাষিরা?
আরও দেখুন

ছোট থেকেই দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করে পড়াশোনা করেছেন। বর্তমানে সে সত্যব্রত কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র৷ বাড়ি সন্তোষপুরের হরিণঘাটায়৷ সত্যব্রতের বাবা প্রদীপ রাই ফল বিক্রি করেন৷ মা রুমা রাই সেলাইয়ের কাজ করে কোনওরকমে সংসার চালান। পাড়াতেও মেধাবী ছাত্র হিসেবেই পরিচিতি। সেই ছেলে কী ভাবে এই ঘটনায় জড়াল বুঝতে পারছেন না কেউ-ই৷

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
Jadavpur University: হস্টেলে ‘আতঙ্কের’ আরেক নাম ছিল সত্যব্রত! ‘ভয়’ পেতেন সুপারও, বাবা ফল বিক্রি করেন, মা সেলাইয়ের কাজ
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল