অবশ্য বাম ছাত্র সংগঠনের দাবি, পাল্টা নেতৃত্বের তরফেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে পুলিশ অনুমতি না দিলেও এই সভা হবে। সোমবারই ফেসবুকে এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য লেখেন, “র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে ছাত্র সমাবেশ। অনুমতি দিল না তৃণমূলের পুলিশ। ওদের অনুমতির তোয়াক্কা কে করে? সমাবেশ হবেই। ওখানেই হবে।” তারপর থেকে সকাল থেকেই সমাবেশের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে সংগঠনের তরফে। ঢাকুরিয়া থেকে মিছিল করে সভাস্থল পর্যন্ত যাবে কলকাতা জেলা সংগঠন। শেষ মুহুর্তে পুলিশ সভা করা আটকালে কী হয় সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের৷
advertisement
আরও পড়ুন: হাইকোর্টে ধাক্কা শুভেন্দুর! দত্তপুকুর বিস্ফোরণ কাণ্ডে আপাতত নয় NIA তদন্ত
আন্দোলনে ‘অলআউট’ নামতে চলেছে এসএফআই। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি কর্মসূচিও করে ফেলেছে সিপিএমের ছাত্র সংগঠন। এবার ছাত্র সংগঠনের পাশে দাঁড়িয়ে সেই আন্দোলনকে আরও উচ্চগ্রামে চড়াতে ময়ুখ বিশ্বাস, সৃজন ভট্টাচার্যের সঙ্গে মাঠে নেমে পড়েছেন মহম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তী, নীলোৎপল বসুরা। মঙ্গলবার যাদবপুর এইটবি বাসস্ট্যান্ডে একটি সমাবেশ করা হচ্ছে সংগঠনের পক্ষে। সেইখানেই বক্তব্য পেশ করবেন এই নেতারা।
গত ৯ অগাস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হস্টেলের নীচে রাত ১২টা নাগাদ বিবস্ত্র, রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় বাংলা প্রথম বর্ষের এক ছাত্র৷ হাসপাতালে নিয়ে গেলে পরের দিন ভোর রাতে তাঁর মৃত্যু হয়৷ ঘটনায় হস্টেলের বেশ কয়েকজন প্রাক্তনী এবং সিনিয়রদের বিরুদ্ধে র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে৷
ওই ছাত্রকে দিয়ে নিজেদের রাজনৈতিক পপ্রতিদ্বন্দ্বিতার স্বার্থে চিঠি লেখানোর পাশাপাশি, তাঁকে বিবস্ত্র করে বারান্দায় ঘোরানোর মতো ভয়াবহ অভিযোগ উঠেছে৷ ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে হস্টেলের বর্তমান এবং প্রাক্তন ছাত্র মিলিয়ে ১২ জন৷
