যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের নিকটবর্তী পুকুরে মদের বোতল উদ্ধার হয়েছিল এই ঘটনার মাঝেই। হস্টেলের তিন তলা থেকে পড়ে মৃত্যু হয় সাড়ে সতেরো বছরের এক পড়ুয়ার। সেই হস্টেলের কম্পাউন্ডের ভিতরে থাকা পুকুরের যততত্র-সর্বত্র এখনও পড়ে রয়েছে মদের বোতল। তারই মধ্যে এক ছাত্রী দাবি করেন, ‘আমরা অনেককেই বলতে শুনেছি, ক্যাম্পাসে এতো বিয়ারের বোতল কেন? যাঁরা এসব বলছেন, আমি নিশ্চিত তাঁরা নিজেরাও মদ্যপান করেন। তাঁরা নিজেদের ঘরে করেন। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়কে আমাদের দ্বিতীয় বাড়ি বলে মনে করি। তাই আমাদের অধিকার রয়েছে যে আমরা চাইলে ক্যাম্পাসে মদ্যপান বা ধূমপান করতে পারি।’
advertisement
আরও পড়ুন: ‘আর কোনওদিন ছেলেটাকে পুজো দেখাতে পারব না,’ দলা পাকানো কান্না যাদবপুরের সন্তানহারা বাবা-মায়ের!
এই মন্তব্য নিমেষে ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। নিন্দার ঝড় ওঠে শিক্ষামহলে। সোশিওলজি বিভাগের ছাত্রী শ্রীজাতা বাগচি নিজেকে আর্টস ফ্যাকাল্টি স্টুডেন্ট ইউনিয়নের সদস্য (আফসু) বলে দাবি করেন। জানা গিয়েছে, তিনি ইনকেলাবি স্টুডেন্ট ইউনিটির সদস্য। সংগঠনটি যাদবপুরে ‘ক্রান্তি’ নামে পরিচিত। যদিও পরে অবশ্য নিজের বক্তব্যের জন্য সমাজমাধ্যমে ক্ষমা চেয়েছেন ওই ছাত্রী।
আরও পড়ুন: রোজ যেমন খুশি, যত খুশি হাঁটলে উল্টে শরীরের ক্ষতি! বয়স অনুযায়ী কতটা হাঁটা জরুরি জানুন
সোশ্যাল মিডিয়ায় দীর্ঘ পোস্ট করে ক্ষমা চেয়েছেন শ্রীজাতা। তিনি লিখেছেন,’সংবাদমাধ্যমে করা আমার বিভিন্ন মন্তব্য এদিক ওদিকে ঘুরে বেড়াচ্ছে। যেহেতু আমি কলা বিভাগ ছাত্র সংসদের প্রতিনিধি, তাই আমার ব্যক্তিগত মতামত দূরে সরিয়ে রেখে মদ্যপান ও ধূমপান নিয়ে করা আমরা মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইছি।’ সিসিটিভি বসানো প্রসঙ্গ তাঁর বক্তব্য, ‘আমি এখনও বিশ্বাস করি আমাদের ক্যাম্পাসে পড়ুয়াদের খুব একটা লাভ হবে না।’