রাজ্যের শাসকদলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এদিন অভিযোগ করেন, “রাজ্যপাল একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর নিজের মতো করে উপাচার্য নিয়োগ করেছেন৷ উনি শিক্ষাক্ষেত্রে গৈরিকীকরণের অভিযান শুরু করেছেন৷ উপাচার্য হিসাবে তিনি একতরফা নিয়োগ শুরু করেছেন৷ বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে গৌতম সাহাকে নিয়োগ করেছেন৷ উনি উগ্র বিজেপি সমর্থক।’’
আরও পড়ুন: বিপাকে অধীর চৌধুরী, ‘অসংসদীয় আচরণ’ নিয়ে শুক্রবার তলব করল প্রিভিলেজ কমিটি
advertisement
এর পরেই কুণালের তোপ, ‘‘রাজ্যপাল আনন্দ বোস, সাংবিধানিক রীতিনীতি গণ্ডি যা বাঁধা আছে, তা তিনি পালন করছেন না৷ বিজেপি নেতাদের মতো গণ্ডি বাঁধা আছে৷ বিজেপির এজেন্ট ও কার্যকর্তার ভূমিকা পালন করছেন৷ বাছাই বাছাই বিজেপির লোকেদের উদ্দেশ্য ও মানসিকতা নিয়ে চলা মানুষদের/অধ্যাপকদের উপাচার্য নিয়োগ করছেন৷ শিক্ষা দফতরের কাজে নাক গলাচ্ছেন৷ নির্দিষ্ট রাজনৈতিক তকমা লাগানো ব্যক্তিদের নিয়ে এগোচ্ছেন৷ এই প্রক্রিয়া অরাকজকতা, শূন্যতা সৃষ্টি করবে৷ আমরা অবিলম্বে এর থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করছি৷ একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অভিযোগ এসেছে৷ উনি বুধবার যাদবপুর নিয়ে যে বৈঠক করছেন সেটা করতে পারেন না৷ এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন আছে। তিনি বারবার এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে কাজ করছেন।”
এর আগেও শিক্ষামন্ত্রী সহ রাজ্যের শাসকদলের একাধিক নেতানেত্রী রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন৷ এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সেই সংঘাত আরও তীব্র হতে শুরু করেছে। নির্দিষ্ট করে বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা উল্লেখ করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাঁর অভিযোগ, “ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের নিয়োগ করা রাজ্যপাল গৌতম দাস ঘোষিত এবং উগ্র বিজেপি সমর্থক। দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে সেটা তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন।” কুণাল বলছেন, ‘‘বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠানের গরিমা নষ্ট করা হচ্ছে। রাজ্যের নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে বদনাম করার চেষ্টা হচ্ছে।”