প্রথমেই ক্ষুদীরাম বসুর ফাঁসি, মাস্টারদা সূর্য সেন, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের সংগ্রাম, মাতঙ্গিনী হাজারার সংগ্রাম ও সর্বোপরি নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসেট অবদান তুলে ধরলেন এক ঝাঁক শিল্পী। ভারতবর্ষ বরাবরই সর্বধর্ম সমন্বয়ের দেশ৷
advertisement
তাই রাজভবনের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের শুরুতেই কবির সুমনের গানে গানে , শিখ , হিন্দু , জৈন, মুসলিম ইত্যাদি আরও নানান ধর্মের পরিবেশন করা হল। এই সব কিছুর মাঝে নজর কাড়ল যে বিষয়টি তা হল এই শহরের একটি স্কুল থেকে আজ রাজভবনে উপস্থিত ছিলেন স্পেশাল কিছু ছাত্রছাত্রী। এরা প্রত্যেকেই বিশেষভাবে সক্ষম।
রাজ্যপাল যেখানে বসে রয়েছেন সেখান থেকে নেমে এলে একদম ডান দিকে তাদের শিক্ষিকাদের সঙ্গে বসে রয়েছেন এই শিশুরা। যাদের কারোর হাতে পতাকা আবার কারোর হাতে ‘অপু-দূর্গা’র রেল লাইন দেখতে যাওয়ার ছবি। ছোট ছোট হাতে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে পতাকা ও এই ছবি তুলে দিল খুদেরা। রাজ্যপাল তাদের ও তাদের শিক্ষিকাদের হাতে তুলে দিলেন চকলেট।
অনুষ্ঠানের শেষে বিকশিত ভারত নিয়ে বললেন রাজ্যপাল। সাংবাদিকদের মুখোমুখি বললেন, ‘‘আমি আজ রাজ্যবাসী তথা দেশবাসী কে এই মহান দেশের অংশ হওয়ার জন্য হার্দিক অভিনন্দন জানাই । আমি প্রথমেই একজন ভারতীয়, আমি দক্ষিণ ভারতীয় নই। আজ এই ভারত বিকশিত ভারত, আত্মনির্ভর ভারত, শক্তিশালী ভারত। এরপরেই আসন্ন ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ হোক। মানুষ নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করুক।’’ বলে নির্বাচনের বেশ কয়েকমাস আগেই রাজভবনে স্বাধীনতা দিবসের মঞ্চ থেকে পশ্চিমবঙ্গবাসীকে বার্তা দিলেন রাজ্যপাল।