মূল প্রবেশ পথ দুটিতেই পুলশের নিরাপত্তা। গেটের বাইরে যেতে হলে বা ভিতরে আসতে হলে ছাত্র ছাত্রীদের নির্দিষ্ট আই ডি কার্ড দেখে তবেই এন্ট্রি ও এক্সিট করতে দিচ্ছেন নিরাপত্তা কর্মীরা।
বারংবার জিজ্ঞাসাবাদ করে, ভিজিটর খাতায় নাম লিখিয়ে তবেই ভিতরে যেতে দেওয়া হচ্ছে বাইরে থেকে আসা স্টাফেদের৷ নিরাপত্তার বলয়ে মোড়া আই আই এম কলকাতা। কিন্তু এই সবই হচ্ছে ঘটনার পরে।
advertisement
কয়েকজন ডেলিভারি বয় যারা কলেজের বাইরে দাঁড়িয়ে রইলেন তারা বলছেন এর আগে শুধুমাত্র ভিজিটর খাতায় নাম লিখিয়ে তারা প্রবেশ করতে পারতেন ক্যাম্পাসের ভিতর, হোস্টেল পর্যন্ত পৌঁছে যেতেন। আজ তাদের গেটের বাইরে দাঁড়াতে হচ্ছে, অপেক্ষা করতে হচ্ছে কাস্টোমারের জন্যে।
নিরাপত্তার গাফিলতি না থাকলে এই ঘটনা ঘটবে কী ভাবে? এই প্রশ্নের উত্তরে লেক ভিউয়ের হোস্টেল ম্যানেজার জগদীশ চন্দ্র মণ্ডল জানালেন, ‘এই ঘটনার জন্য নিরাপত্তারক্ষীরা দায়ী। আমি কিছু জানি না’।
সকাল ৬ টা ৩০ মিনিটে তিনি ক্যাম্পাসে আসেন আবার সন্ধে ৬ টা ৩০ মিনিটে ছুটি হয় তাঁর। অর্থাৎ ১২ ঘণ্টা ডিউটি। বিনময়ে পান ১০ হাজার টাকা। কোনও স্থায়ী কর্মী নেই তাই ক্যাজুয়াল পোস্টে একজন বয়স্ক ভদ্রলোক হোস্টেলের এই ম্যানেজারের পদ সামলান।
নিরাপত্তা বলয়ে এতো কড়াকড়ি থাকলে এই ঘটনা ঘটত কী? এর উত্তরে নির্বাক থাকলেন ১ নং গেটে কর্মরত নিরাপত্তারক্ষীরা। প্রতিদিন কী আই ডি কার্ড এই ভাবে চেক করা হত আগে? এর উত্তরেও চুপ করে থাকলেন নিরাপত্তারক্ষীরা। তাহলে কী শুরুতেই গাফিলতি কেন্দ্র সরকারের প্রতিষ্ঠান আই আই এম কলকাতায় ?