গত শুক্রবার কৈখালির চিড়িয়ামোড়ে নিজের বাড়িতেই রহস্যজনকভাবে খুন হন ওই মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ার ৷ তাঁর স্বামীকে চেয়ারের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করেছিল পুলিশ ৷ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সিভিক ভলান্টিয়ার শম্পা দাসকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা ৷
আরও পড়ুন: সিভিক ভলেন্টিয়ার খুনে নয়া মোড়, স্বামী ও পরিচারিকাকে সন্দেহ পুলিশের
advertisement
শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টায় কাজ করে বাড়ি ফেরেন শম্পা দাস। সেই সময় তাঁর স্বামী সুপ্রতিম ও শ্বাশুড়ি বাড়িতে ছিলেন। সাড়ে তিন বছরের ছেলে বাইরে ছিল। সাড়ে ন'টা নাগাদ বাড়িতে ঢুকে সিড়িতে রক্ত দেখে কাঁদতে শুরু করে ছেলে। প্রতিবেশীরা গিয়ে দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন শম্পা, ঘরে চেয়ারে হাত পা বাঁধা, আহত অবস্থায় রয়েছেন সুপ্রতিম দাস। সে সময় সুপ্রতিম নিজেও জানিয়েছিলেন, দুষ্কৃতিদের বাধা দিতে গিয়েই জখম হয়েছেন তিনি ৷ যদিও প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান ছিল, স্ত্রীকে খুন করে দুষ্কৃতী হামলা ও লুঠের অভিনয় করছেন শম্পার স্বামী সুপ্রতিম। দেহের আঘাতও নিজেই করেছেন তিনি অথবা ঘটনা সাজানোর অন্য কাউকে দিয়ে করিয়েছেন ৷ সুপ্রতিমকে জেরা করতে গিয়ে পুলিশের সন্দেহ আরও গাঢ় হয় ৷ তাঁর বয়ানে প্রথম থেকেই প্রচুর অসঙ্গতি ধরা পড়ে ৷
মৃতার পরিবার প্রথম থেকেই খুনের অভিযোগ করেছিল ৷ তাঁদের দাবি ছিল, পরিকল্পনা মাফিক খুন করা হয়েছে শম্পাকে ৷ শম্পার স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে এয়ারপোর্ট থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় শম্পার পরিবারের তরফে ৷ তাঁদের দাবি, সম্পত্তি বিবাদের জেরেই এই ঘটনা ৷