যাত্রিবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়ে গেলে, প্রচুর সংখ্যক যাত্রীদের সুবিধা হবে। একদিকে তারকেশ্বর, অন্যদিকে বিষ্ণুপুরের সঙ্গে সারদা মায়ের জন্মস্থান জয়রামবাটি সহ ঠাকুর রামকৃষ্ণের জন্মস্থান কামারপুকুর জুড়ে দেওয়ার উদ্যোগ শুরু হয় ২০০০ সালের গোড়ায়। তৎকালীন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন বিষ্ণুপুর থেকে জয়রামবাটি হয়ে তারকেশ্বর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ করা হবে। ধাপে ধাপে প্রকল্পের কাজ শেষ করে কখনও বিষ্ণুপুর থেকে গোকুলনগর পর্যন্ত আবার কখনও সেই রেলপথ সম্প্রসারিত করে বিষ্ণুপুর থেকে ময়নাপুর পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরু করেছে রেল।
advertisement
কমিশন অফ রেলওয়ে সেফটির বিশেষ ট্রেন চালানো হয় সম্প্রসারিত ওই রেলপথে। জয়রামবাটি থেকে কামারপুকুর দূরত্ব ৫.১৯ কিলোমিটার। আর কামারপুকুর থেকে গোঘাট ৫.১ কিলোমিটার। এই রেলপথে ভাবাদিঘির জন্য আটকে থাকা কাজ বাকি। যা এক বছরের মধ্যেই শেষ করা সম্ভব হবে বলে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
আগামী মার্চেই হাওড়া থেকে সরাসরি বিষ্ণুপুর পৌঁছে যাওয়া যাবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন রেলের আধিকারিকরা। এই রেলপথ তৈরি হলে সরাসরি বিবেকানন্দের বেলুড়মঠ, রামকৃষ্ণের জন্মভূমি কামারপুকুর ও মা সারদার জন্মভূমি জয়রামবাটি ও মল্লভূমের রাজধানী বিষ্ণুপুরকে একই সূত্রে গাঁথা হবে রেলপথে।
হাওড়া ডিভিশনের ডি আর এম সঞ্জীব কুমার জানিয়েছেন, রেল মন্ত্রক যেদিন অনুমতি দেবে, সেদিন থেকেই ট্রেন চালানো শুরু হয়ে যাবে। সমস্ত ধরণের ব্যবস্থা সেরে রাখা হয়েছে। আমরা চাই দ্রুত গোটা প্রকল্প শুরু হয়ে যাক।