হাওড়া স্টেশনের নিচতলায় পুরনো কমপ্লেক্সের একপাশে মেজানাইন ফ্লোরিং-সহ যাত্রীরা উচ্চ মানের খাবার উপভোগ করতে পারবেন। এই ফুড প্লাজায় কেমিক্যাল ছাড়া খাবার তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়া সংস্থা।সুন্দরবন কো-অপারেটিভ মিল্ক অ্যান্ড লাইভস্টক ইউনিয়ন লিমিটেডের তাজা দুধ, চাল, গম, শাকসবজি থেকে খাবার তৈরি করা হবে। এ ছাড়াও এখানে চাইনিজ খাবার, পিৎজা, বার্গার, স্যান্ডউইচ, রোলস, আইসক্রিম ইত্যাদি পাওয়া যাবে।
advertisement
এই ফুড প্লাজাটি রেলওয়ে এবং আইআরসিটিসি এর মধ্যে ৪০ঃ৬০ মুনাফা ভাগাভাগির ভিত্তিতে প্রায় চার কোটি ৪২ লক্ষ টাকার বার্ষিক লাইসেন্স ফিতে পুনরায় খোলা হয়েছে। অন্যান্য বার পুজোর সময়ে যে ফুড প্লাজা গমগম করত যাত্রীদের ভিড়ে, সেই ছবি পুনরায় দেখা যাবে বলে আশাবাদী রেল ও আইআরসিটিসি উভয়েই ৷ লকডাউন অধ্যায় থেকে বন্ধ ছিল ফুডপ্লাজা ৷ তার জেরে বিপুল টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে সংস্থা। তেমনই খাবার না পেয়ে সমস্যায় পড়েছেন যাত্রীরা।
হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশনের ফুড প্লাজাকে তুলনা করা হয় বিমানবন্দরের ফুড লাউঞ্জের সাথে। কারণ একসঙ্গে অনেক যাত্রী এখানে দাঁড়িয়ে বা বসে খেতে পারেন। একই সঙ্গে খাবার নিয়ে তারা যেতেও পারেন। কার্যত এটি টেকআওয়ে সিস্টেম। যদি হাওড়া স্টেশনের ফুড প্লাজার কথাই ধরে নেওয়া যায় তাহলে প্রায় ২৭৫ জন বসে ও দাঁড়িয়ে খাবার খেতে পারেন৷ চা, কফি, ফ্রুট জুস থেকে শুরু করে ফিশ ফ্রাই, বিরিয়ানি বা ইডলি-ধোসা সবটাই মেলে এখানে।
এক যাত্রী মৃত্যুঞ্জয় মোহান্তি জানাচ্ছেন, ‘‘এখান থেকেই খাবার কিনতাম ৷ স্টেশনে এসে দেখেছি বন্ধ ছিল এটি। আমি ভূবনেশ্বর যাতায়াত করি এবার কোথায় খাবার পাব তাই তো বুঝতে পারছিলাম না। অবশেষে ফুড প্লাজা খুলে যাওয়ায় সুবিধা হল।’’ একই ধরণের অভিযোগ নবারুণ রায়ের। তিনি জানাচ্ছেন, ‘‘দূরপাল্লার ট্রেনে যাওয়ার জন্যে সবাই স্টেশনে এসেই খাবার কেনেন। আবার সেটা মিলছে ফলে আমাদের সমস্যা মিটল।’’