আরও পড়ুন: প্রয়াত রাজ্যের প্রবীণ মন্ত্রী সাধন পান্ডে, শোকপ্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপাল
আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রনেতা আনিস খানের (Anis Khan) রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে রাজ্যে ক্রমশ বাড়ছে রাজনৈতিক পারদ। ইতিমধ্যে আনিসের মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন তাঁর বাবা সালেম খান। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে নানা মহলে (Howrah Death)। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝেই তাই হাওড়া গ্রামীণের এসপি সৌম্য রায়কে তলব করা হয়েছিল ভবানী ভবনে। বিষয়টি নিয়ে রিপোর্টও নিয়েছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি। ভবানী ভবন সূত্রের খবর, আনিস খানের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তকারী অফিসার হবে ডিএসপি পদমর্যাদার অফিসার। যেহেতু পুলিশের বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠেছে, তাই এই বিষয়ে তদন্ত করবেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার অফিসার।
advertisement
আনিসের পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয়, শুক্রবার রাতে সিভিক ভলেন্টিয়ার ও পুলিশের বেশে আনিসের বাড়িতে আসে ৪ জন। এরপরই তাদের মধ্যে ৩ জন উপরের তলায় আনিসের ঘরে চলে যায়। এরপর আনিসের মাথায় আঘাত করে তাকে ছাদ থেকে নীচে ফেলে দেওয়া হয়। যদিও, পুলিশের তরফে শুরু থেকেই দাবি করা হয়েছে, শুক্রবার রাতে আনিসের বাড়িতে থানা থেকে কেউ যাননি। সেক্ষেত্রে কারা সিভিক ভলেন্টিয়ার ও পুলিশের বেশে আনিসের বাড়িতে গিয়েছিল, সেই বিষয়টিই ভাবাচ্ছে পুলিশকে। ঘটনার পর থেকে আনিসের একটি মোবাইল ফোনও পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ পরিবারের।
আরও পড়ুন: পঞ্জাবে ভোটের দিনেই 'বড়' অভিযোগের মুখে সোনু সুদ! কমিশনের নির্দেশে 'ঘরবন্দি'
রবিবার বিকেলে হাওড়া গ্রামীণের পুলিশসুপার সৌম্য রায় জানান, ডিএসপি পদমর্যাদার এক আধিকারিককে দিয়ে তদন্ত করানো হবে।এই তদন্তকারীই খতিয়ে দেখবেন, শুক্রবার রাতে ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল। কারা এসেছিল আনিস খানের বাড়িতে? যে চারজনের কথা আনিসের (Howrah Death) পরিবার জানিয়েছে, তারা আদৌ পুলিশ কর্মী কি না। যদি তারা পুলিশ হয় তা হলে কার নির্দেশে তারা এসেছিল সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে।
এদিকে আনিস খানের মৃত্যুতে পরিবারের তরফে দাবি, তাঁদের অনুমতি ছাড়াই তড়িঘড়ি ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মিলেছে মদের প্রমাণ। সেই নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। আনিসের বাবা সালেম খানের দাবি, নিজেদের আড়াল করতেই পুলিশ এই কাজ করেছে। ঘটনায় আনিসের বাবা সিবিআই তদন্তেরও দাবি জানান।
আনিসের বাবা শনিবারই অভিযোগ তুলেছেন তাঁর ছেলেকে খুন করা হয়েছে। আমতা থানায় তাঁর দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির তিনটি ধারায় মামলা রুজু করে। মূলত খুন, ষড়যন্ত্রের ধারায় মামলা করে তদন্ত শুরু হয়েছে। সেইমতোই ডিএসপি পদমর্যাদার যিনি রয়েছেন অর্থাৎ ডিএসপি হেড কোয়ার্টার (গ্রামীণ) তদন্ত করবেন বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে, রবিবার আনিসের (Anis Khan) বাড়িতে যায় ফরেন্সিক দল। সেখানে ছাদ থেকে কোলবালিশ ফেলে পরীক্ষা করা হয়। এদিন ফরেন্সিক টিম পৌঁছে ঘটনাস্থলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে৷ ছাদ থেকে নীচে কোথায় আনিস পড়ে যান সেই জায়গাটি চিহ্নিত করে তারা৷ যদিও পরিবার এখনও সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড়। ওই পরিস্থিতিতে হাওড়া গ্রামীণ-এর পুলিশ সুপারকে ডেকে পাঠানোর পর রাজ্য পুলিশের তরফে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়, সেটাই এখন দেখার।