মামনি, সোনাগাছির রেড লাইট এলাকাতে ২৫ বছরের বেশি রয়েছেন। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, প্রথম যখন তিনি পেশার জন্য ওখানে এসেছিলন, সেই সময় খদ্দেরদের আক্রমণাত্মক ভাষা, কদর্য গালাগালি সহ্য হত না তাঁকে।অনেক সময় খরিদ্দারকে ধাক্কা মেরে ঘর থেকে বের করে দিতেন। কিন্তু পরে দেখেছিলেন, সেই খরিদ্দার অন্য বাড়িতে গিয়ে তাঁর প্রয়োজন মিটিয়ে বাড়ি ফিরছে।
advertisement
আরও পড়ুন- বাইক দাঁড় করিয়ে রেখে ঝাঁপ, শনিবার হঠাৎ লঙ্কাকাণ্ড দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে
যখনই পল্লী ছেড়ে তারা সাধারণ সড়কে ওঠে, তখন কেউ বুঝতেই পারে না, ওই লোকটির মুখের ভাষা, ব্যবহার কতটা কুৎসিত! প্রত্যেকটি খরিদ্দারের যৌন পিপাসা মেটানোর কায়দা আলাদা ধরনের। কেউ আনন্দ পায় ঘরের দরজা লাগানোর পরে কুৎসিত ভাষায় গালাগালি করে। তাতেই নাকি সেই খরিদ্দারে মানসিক শান্তি হয়।
আবার এমন অনেকে রয়েছেন যাদের আচার-আচরণে দুই এক দিনেই বোঝা যায়। তবে যাঁরাই নিষিদ্ধ পল্লীতে যায়, তারা বেশির ভাগ শরীরের খিদের থেকে মনের খিদে মেটাতে যায়। মামনির কথায়, এমনও খরিদ্দার আসে, যাদের সামনে উলংগ হলেই শরীরের নানা অঙ্গ প্রত্যঙ্গ খুব কদর্য ভাষায় বর্ণনা করতে থাকে। তাতেই নাকি তাদের চাহিদা মিটে যায়। শুধু ধৈর্য ধরে শুনতে হয়।
তবে সমাজের নানা কৌলীন্য প্রথার জন্য পুরুষদের মধ্যে একটি বিকৃত মানসিকতার সৃষ্টি হয়। 'সবাই আমাদের মতো মহিলাদের কাছে নারী শরীর না পাওয়ার চাহিদা মেটাতে আসে। কোনও ডাক্তার সহজে ওই বিকৃত মানসিকতার মানুষগুলোকে সারাতে পারে না। আমরাই ওদের থেরাপি।'
আরও পড়ুন- নাগেরবাজার তান্ত্রিক-কাণ্ডে বিজেপি নেতার আত্মীয়ের নাম! নজরে বনগাঁর ব্যবসায়ী
তবে বিকৃতকাম পুরুষদের সংখ্যা এতটাই বেশি যে এই ধরনের পল্লী না থাকলে রাস্তায় লাঞ্ছিত হতে হত সাধারণ মহিলাদের। এটাই দাবি মামনিদের। তবুও তাদের পেশার স্বীকৃতি নেই বলে দাবি করছিলেন তাঁরা।
তবে এই ধরনের বিকৃত কামের পুরুষদের ওপর এখনো কোনো কাজ শুরু হয়নি বলে দাবি, মামনিদের। সাধারণ পোশাকে থাকা বহু পুরুষের চাহিদা বোঝা যায় না। নিষিদ্ধ পল্লীতে গেলে তাদের আসল রূপ সম্পর্কে জানা যায়।