সম্প্রতি শহরে আয়োজিত অল ইন্ডিয়া হোমিওপ্যাথিক পোস্ট গ্র্যাজুয়েট সেমিনারে যোগ দিয়ে এ কথা জানিয়েছেন ন্যাশনাল কমিশন ফর হোমিওপ্যাথির চেয়ারপার্সন চিকিৎসক অনিল খুরানা। হোমিওপ্যাথির এই শীর্ষকর্তা জানান, শিক্ষা বাস্তবসম্মত ও যুগোপযোগী হোক, আমরা সেটাই চাইছি। এত দিন বিএইচএমএস পাঠ্যক্রমের কেবল মাত্র তৃতীয় এবং চতুর্থ বর্ষের পড়ুয়ারা রোগী দেখার সুযোগ পেতেন। আসন্ন শিক্ষাবর্ষ থেকেই বিএইচএমএস পাঠ্যক্রমের প্রথম বছর থেকেই রোগী এবং তাঁদের মেডিক্যাল সমস্যার সঙ্গে পরিচিতি শুরু হয়ে যাবে হোমিওপ্যাথির পড়ুয়ারা। এ বার শুধু প্রথম বছর থেকেই রোগী দেখা শুরু হচ্ছে না, পাশাপাশি বিএইচএম এসর প্রথম বর্ষের মেয়াদ বেড়ে হচ্ছে দেড় বছর।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘আমার জন্মও মাটির বাড়িতে’, আদিবাসী গ্রামের বাসিন্দাদের খোঁজ নিয়ে বললেন মমতা
আরও পড়ুন: ছাত্র পড়াতেই ব্যস্ত টেট তালিকায় থাকা দিলীপ ঘোষ, বিতর্কে জড়াতে নারাজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
যা আগে ছিল ফাইনাল ইয়ারের মেয়াদ। দেশের ২৭৫টিরও বেশি হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রছাত্রীর জন্য শীঘ্রই চালু হয়ে যাচ্ছে নয়া নিয়ম। ডাঃ খুরানা আরও বলেন, যত সময় যাচ্ছে, দেশে ততই জনপ্রিয় হচ্ছে হোমিওপ্যাথি। মেডিক্যাল কলেজ চালু করার বিষয়ে উৎসাহ তার অন্যতম প্রমাণ। তিনি বলেন, প্রতি বছর দেশে নতুন করে ১০টি হোমিওপ্যাথিক কলেজ চালু হচ্ছে। তবে সারা দেশে মাত্র পাঁচ হাজার স্নাতকোত্তর হোমিও আসন প্রয়োজনের তুলনায় যে অনেকটাই কম, তা স্বীকার করে নেন চিকিৎসক অনিল খুরানা।
এনসিএইচ সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী বছর থেকে শুরু হয়ে যাচ্ছে কমন ন্যাশনাল এক্সিট এক্সাম বা ‘নেক্সট’। এই পরীক্ষার ফলাফলের উপর নির্ভর করেই স্নাতকোত্তরে বিভিন্ন পাঠ্যক্রমে ভর্তির সুযোগ পাবেন ছাত্রছাত্রীরা। ছাত্রছাত্রীদের পড়ানোর জন্য গুণগত মানের শিক্ষক পেতে শীঘ্রই দেশে শুরু হতে চলেছে ন্যাশনাল টিচার্স এলিজিবিলিটি টেস্ট।