রাত হলেও স্বামী না ফেরায় চিন্তিত হয়ে পড়েন তিনি। ২২ শে জুলাই প্রায় ভোররাতে খবর আসে। সেই থেকে দুর্দশার মধ্যে চলছিল পরিবার। পরিবর্তনের পর অবশ্য অবস্থার অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে। প্রতিবছর ২১ শে জুলাই এলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন মহারাণী মণ্ডল।
আরও পড়ুন: আজ বাসভবনে জরুরি বৈঠক ডাকলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
advertisement
১৯৯৩ সালের একুশে জুলাই মেয়ো রোডে মহাকরণমুখী মিছিলে গুলি চালায় পুলিশ ৷ মৃত্যু হয় ১৩ জন যুব কংগ্রেস কর্মীর ৷ সেই তালিকায় ছিল রতন মণ্ডলের নামও। প্রতি বছর ২১ জুলাই শহিদ পরিবারকে সম্মান জানান তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই পুলিশের গুলিতে ১৩ জন যুব কংগ্রেস সমর্থকের প্রাণ যাওয়ার পরের বছর থেকেই এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য ‘শহিদ দিবস’ হিসেবে পালন করতে শুরু করে যুব কংগ্রেস।
আরও পড়ুন: কোভিড সংক্রমণের মাঝেই ২১ জুলাই তৃণমূলের সমাবেশ! ভিড়ে বিধি পালনের নির্দেশ আদালতের
এর পর ১৯৯৮ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে তৃণমূল তৈরি করার পরও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২১ জুলাই পালন করেন। তৃণমূলের সবচেয়ে বড় দলীয় অনুষ্ঠান এই ২১ জুলাই। ২০১১ সালে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর আরও ‘গুরুত্ব’ বেড়েছে এই বিশেষ দিনের। বিভিন্ন জেলা থেকে এসে এই কর্মসূচিতে যোগ দেন ঘাসফুল শিবিরের কর্মী-সমর্থকেরা। তবে দু’বছর ধরে অতিমারি থাবা বসিয়েছে এই কর্মসূচিতে। গত দু’বছর ধরে নেত্রীর নির্দেশে ভার্চুয়ালি ‘শহিদ দিবস’ পালন করেছেন নেতা-কর্মীরা।