বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, প্রায় ৫০ থেকে ৬৫ বছর পুরনো এই হোস্টেলগুলিতে বর্তমানে প্রায় সাত হাজার ছাত্রছাত্রী বাস করেন। স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি স্তরের পড়ুয়াদের জন্য থাকা এই আবাসনগুলোর অবস্থা বর্তমানে বেশ কিছু ক্ষেত্রে জীর্ণ ও পরিত্যক্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে বলেই আশঙ্কা।
চিন যেভাবে পাকিস্তানকে শক্তিশালী করছে, আর উপায় নেই! নতুন চাল, কোন দেশের সঙ্গে হাত মেলাল ভারত?
advertisement
দুঃসময় ঘনিয়ে আসছে ভারতের! ইরান-ইজরায়েল সংঘাতে কী কী বড় ক্ষতি হবে দেশের?
কী সিদ্ধান্ত নিল কর্তৃপক্ষ?
বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে—
- প্রতিটি হোস্টেলের পরিকাঠামোগত স্থিতি খতিয়ে দেখবেন পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ার এবং আধিকারিকরা।
- কোথায় কী ধরণের সংস্কার প্রয়োজন, তা নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেবেন তাঁরা।
- সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই ধাপে ধাপে সংস্কারের কাজ শুরু হবে।
হেদুয়া হোস্টেল থেকে সরানো হয় পড়ুয়াদের
ছাদ থেকে চাঙর ভেঙে পড়ার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে হেদুয়া পার্কের ছাত্রী হোস্টেলে।
ইতিমধ্যেই হোস্টেলটি খালি করে ৭৫ জন ছাত্রীকে অন্য হোস্টেল ও গেস্ট হাউসে স্থানান্তরিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
হোস্টেল সংস্কারে বরাদ্দ বাড়াতে পারে বিশ্ববিদ্যালয়
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের একাংশ মনে করছেন, হোস্টেলগুলির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রয়োজন। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষা দফতরের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে বলেও খবর।
শুধু হেদুয়া নয়—কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য হোস্টেল, যেমন—রাজাবাজার, সল্টলেক, সাউথ হোস্টেল, আশুতোষ কলেজের হোস্টেল ইত্যাদি নিয়েও এখন সতর্ক নজর রাখছে কর্তৃপক্ষ।