দুঃসময় ঘনিয়ে আসছে ভারতের! ইরান-ইজরায়েল সংঘাতে কী কী বড় ক্ষতি হবে দেশের?
- Published by:Tias Banerjee
Last Updated:
ইরান ভারতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ এবং সেখানে ভারতের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বর্তমানে চালু রয়েছে। কিন্তু ইজরায়েল-ইরান সংঘাত এই প্রকল্পগুলিতে গুরুতর ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।
advertisement
এতে বাণিজ্যে দেরি, পণ্য পরিবহণে বিঘ্ন, জ্বালানির দাম বৃদ্ধি এবং সামগ্রিকভাবে অর্থনৈতিক অস্থিরতার আশঙ্কা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভারতকে ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হতে পারে, কারণ উভয় দেশই ভারতের গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অংশীদার। (Representative Image: AI Generated)
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement
অপরদিকে, ইন্টারন্যাশনাল নর্থ-সাউথ ট্রান্সপোর্ট করিডোর (INSTC) হল একটি ৭,২০০ কিমি দীর্ঘ মাল্টিমোডাল ট্রান্সপোর্ট করিডোর, যার মাধ্যমে ভারত, ইরান, আফগানিস্তান, আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, রাশিয়া, মধ্য এশিয়া এবং ইউরোপের মধ্যে পণ্য পরিবহণ করা হবে। চাবাহার বন্দর এই করিডোরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। (Representative Image: AI Generated)
advertisement
advertisement
ভারত ও ইরানের মধ্যে জ্বালানি খাতেও ঐতিহাসিক সহযোগিতা রয়েছে। ২০১৯ সালের আগে ইরান থেকে ভারতের মোট অপরিশোধিত তেলের চাহিদার প্রায় ১২ শতাংশ পূরণ হত। তবে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ফলে ইরান থেকে তেল আমদানি অনেকটা কমে গেছে। তবুও, ভবিষ্যতে এই জ্বালানি সহযোগিতা পুনরায় চালু করার বিষয়ে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। (Representative Image: AI Generated)
advertisement
তবে সামরিক সংঘাত ও আঞ্চলিক অস্থিরতার কারণে চাবাহার বন্দর ও চাবাহার-জাহেদান রেল প্রকল্পের মতো গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত প্রকল্পগুলির নির্মাণ ও কার্যকারিতা বিলম্বিত হতে পারে। প্রকল্পে নিযুক্ত ভারতীয় কর্মীদের নিরাপত্তার কারণে ইরান থেকে সরিয়ে আনা হতে পারে, যেমন সম্প্রতি অপারেশন সিন্ধুর মাধ্যমে ভারতীয় নাগরিকদের উদ্ধার করা হয়েছে। এর ফলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা নষ্ট হতে পারে, যা ভবিষ্যতের বিনিয়োগকে প্রভাবিত করবে। (Representative Image: AI Generated)
advertisement
সংঘাতের ফলে পারস্য উপসাগর, লোহিত সাগর বা সুয়েজ খালের মতো গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রপথ বিঘ্নিত হতে পারে, যার ফলে জাহাজ পরিবহণ খরচ ৪০-৫০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। এটি ভারতের আমদানি ও রপ্তানি—উভয় ক্ষেত্রেই প্রভাব ফেলবে। আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম \$১০০ প্রতি ব্যারেলের উপরে পৌঁছে যেতে পারে, যার ফলে ভারতে পেট্রোল, ডিজেল এবং রান্নার গ্যাসের দাম বাড়বে। ইরান ও ভারতের মধ্যে চালু থাকা বাণিজ্য যেমন শুকনো ফল, রাসায়নিক, সিমেন্ট, লবণ ও জ্বালানি পণ্যের আমদানি-রপ্তানি ব্যাহত হতে পারে। (Representative Image: AI Generated)
advertisement
advertisement
এই অবস্থায় ভারতের পররাষ্ট্রনীতি এক জটিল পরিস্থিতির মুখোমুখি। কারণ একদিকে ইসরায়েলের সঙ্গে ভারতের ঘনিষ্ঠ নিরাপত্তা ও প্রযুক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে, অপরদিকে ইরান ভারতের জ্বালানি ও বাণিজ্যিক কৌশলের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। এই দুই দেশের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা ভারতের জন্য এক কৌশলগত দুঃসাধ্য চ্যালেঞ্জ। (Representative Image: AI Generated)
advertisement
ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ শুধু দুই দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়—ভারতের প্রকল্প, অর্থনীতি ও পররাষ্ট্রনীতিতেও এর গুরুতর প্রভাব পড়তে পারে। চাবাহার বন্দর, INSTC করিডোর ও জ্বালানি খাতের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে উঠতে পারে। এই পরিস্থিতিতে ভারতকে কূটনৈতিকভাবে অত্যন্ত হিসেব করে পা ফেলতে হবে এবং সময়ের আগেই প্রস্তুতি নিয়ে সম্ভাব্য ক্ষতি মোকাবিলা করতে হবে। (Representative Image: AI Generated)