হাসপাতালে রোগীদের জন্য কী ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা, কারা কারা পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন, এই সমস্ত বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের থেকে৷ তার পরেই স্বাস্থ্য দপ্তর সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্যের তরফে আলাদা করে তদন্ত করা হবে কি না৷
আরও পড়ুন: ছেলের ডাকেও ফিরলেন না, স্ত্রীর মৃত্যুতেই বদলে যান লেকটাউনের সুজিত
advertisement
শনিবার মল্লিকবাজারের ওই হাসপাতালের আটতলার কার্নিশ থেকে পড়ে যান সুজিত অধিকারী নামে এক রোগী৷ হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থাতেই জানলা খুলে আটতলার কার্নিশে নেমে পড়েন তিনি৷ এই ঘটনায় হাসপাতালের তরফে রোগীর নিরাপত্তায় কোনও গাফিলতি ছিল কি না, সেটাই দেখতে চায় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর৷ হাসপাতালের তরফে রোগীর নিরাপত্তা নিয়ে কোনও গাফিলতি ছিল কি না, সেটাই দেখতে চায় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য দাবি করেছে, সম্ভবত রোগীদের শয্যা ওঠানো নামানোর জন্য ব্যবহৃত হাতল বা বেড কি দিয়ে জানলার স্ক্রু ভেঙে ফেলেন সুজিত৷ কারণ, সুজিত যে কার্নিশে নেমেছিলেন, সেখানে একটি বেড কি মিলেছে৷ আর ওয়ার্ডের মধ্যেই জানলার নীচে পড়েছিল একটি স্ক্র৷ পাশের বেডের রোগীও অসুস্থ থাকায় তিনিও কিছু বুঝতে পারেননি৷
আরও পড়ুন: আজই হাসপাতাল থেকে ছুটি হতো, সেখানেই মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন সুজিত
হাসপাতালের তরফে দাবি করা হয়েছে, ওই জানলাগুলি যথেষ্ট শক্তপোক্ত ভাবে বন্ধ করা ছিল৷ কিন্তু আটতলার জানলায় কেন গ্রিল লাগানো ছিল না, সেই প্রশ্নও উঠছে৷ পাশাপাশি, আড়াই ঘণ্টা সময় পেয়েও ওই যুবককে উদ্ধার করতে না পারায় প্রশ্নের মুখে দমকল এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ভূমিকাও৷
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আরও দাবি, রোগী জানলা খুলে কার্নিশে নামছেন দেখে বাধা দিতে গিয়েছিলেন নার্স৷ কিন্তু তাঁর হাতেই কামড়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন লেক টাউনের বাসিন্দা সুিজত অধিকারী৷ বাধ্য হয়েই হাত সরিয়ে নেন ওই নার্স, সেই সুযোগেই কার্নিশে নেমে যান সুজিত৷ ঘটনার অভ্যন্তরীন তদন্ত হবে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ৷